গাজীপুরের শ্রীপুরে রাস নামে এক রিসোর্টে শুটিংয়ে এসে এক মডেল অভিনেত্রী তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরপরই প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ১৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুই নারীসহ চারজনকে আসামি করে মানব পাচার আইনে মামলা করেছে পুলিশ। বাকি ১৪ জনকে সন্দেহজনক হিসেবে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ তাদের আদালতে পাঠায়। মামলাটি গত শনিবার রাতে শ্রীপুর থানার এসআই হুমায়ুন কবির দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন রিসোর্টের কর্মচারী মিরাজ শিকদার (২৩), খায়রুল (২৩), মোছা. দিতি (১৯) ও হাজেরা খাতুন (২৫)।
শ্রীপুর থানার ওসি মো. আব্দুল বারিক জানান, তেলিহাটি ইউনিয়নের রাস রিসোর্টে ওই মডেল অভিনেত্রী তরুণী দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রিসোর্টের ওপর নজর রাখে। গতকাল শনিবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত দুই তরুণীকে দুটি রুম থেকে আটক করা হয়। এ সময় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
ওসি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রিসোর্টের ১৮ কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তাদের মধ্যে দুই নারী ও দুই পুরুষের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা করা হয়েছে। বাকি সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শ্রীপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযানের সময় রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। তাই ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার পাশাপাশি আপাতত রিসোর্টটি বন্ধ রাখা হয়েছে।’
এর আগে, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে রাস রিসোর্টে পরিচালকের সঙ্গে শুটিংয়ের কাজে আসেন ভুক্তভোগী অভিনেত্রী। কথা ছিল নাটকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করার। তবে ওই রাতে সেই রিসোর্টে আগে থেকেই উপস্থিত থাকা আরও দুজনকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয় অভিনেত্রীকে।
দফায় দফায় নির্যাতনের স্বীকার হয়ে চলে যেতে চাইলে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে রিসোর্টের মালিক পরিচয় দেওয়া এক ব্যক্তি ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা মোবাইল রেখে দেন। পরে এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন ওই মডেল।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন