রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

নানা অভিযোগে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দুদকের অভিযান

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৫, ০৫:৫০ পিএম

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দুদকের অভিযান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে দুদকের অভিযান। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এসএসসি পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণ ঘিরে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে শিক্ষা বোর্ড কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বোর্ড ভবনে তল্লাশি চালায় দুদকের সহকারী পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ ইমরান হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, পুনর্নিরীক্ষার খাতায় যে নম্বর ছিল এবং কম্পিউটারে যে নম্বর ইনপুট দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে গরমিল ধরা পড়েছে। এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়ার পর কর্মকর্তারা বোর্ডের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড জানায়, ফল প্রস্তুতের সময়ই গরমিলের বিষয়টি তাদের নজরে আসে। এ নিয়ে গত ১১ সেপ্টেম্বর বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উপ-পরিচালক মুহাম্মদ একরামুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদন দেওয়ার কথা থাকলেও সময়সীমা ১৫ কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে।

বোর্ডের চেয়ারম্যান ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, ‘দুদকের কর্মকর্তারা যেসব তথ্য চেয়েছেন, আমরা দিয়েছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বসহকারে দেখছি। আমাদের নিজস্ব কমিটিও কাজ করছে। পরীক্ষাসংক্রান্ত ব্যস্ততায় প্রতিবেদনে কিছুটা দেরি হচ্ছে।’

চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র পুনর্নিরীক্ষণে ৩৪টি খাতায় ফল বদলের চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ১০ আগস্ট প্রকাশিত পুনর্নিরীক্ষার ফলে দেখা যায়, ১ হাজার ৬৬৯ জনের ফল পরিবর্তিত হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৭৪২ জনের খাতায় নম্বর বদল, ৬৪৬ জনের জিপিএ পরিবর্তন, ৬৪ জনের ফেল থেকে পাস এবং ৬৫ জন নতুন করে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।

নতুন ফল অনুযায়ী চট্টগ্রাম বোর্ডে পাস করেছে ১ লাখ ১ হাজার ২৪৫ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৯০৮ জন। মূল ফল (১০ জুলাই) অনুযায়ী পাস করেছিল ১ লাখ ১ লাখ ১৮১ জন এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১১ হাজার ৮৪৩ জন।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের অধীনে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলার মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৩৩ জন।

পুনর্নিরীক্ষণের মতো সংবেদনশীল প্রক্রিয়ায় এ ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

Link copied!