নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকায় মাহমুদা আক্তার নামে ২ মাসের এক অন্তঃস্বত্তা নারীকে পিটিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় ওই নারী শ্লীলতাহানীর শিকার করা হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত ওই নারী সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের বরাব এলাকার বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মুক্তিযোদ্ধা চাঁন মিয়ার ছেলে মো. মিলন মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। গত বৃহস্পতিবার রাতে হানিফ মিয়ার মুদি দোকানে চুরির ঘটনায় মিলন মিয়ার ছেলে রিয়াদ ও ভাগিনা রাহাতকে দোষারোপ করা হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি পর্যবেক্ষণে প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে হানিফ মিয়ার নেতৃত্বে ইমরান, সম্রাটসহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিলন মিয়ার চাচাতো বোন মাহমুদা আক্তারের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ না থাকায় অন্তঃস্বত্ত্বা মাহমুদা আক্তারকে পিটিয়ে জখম করা হয়। একপর্যায়ে তার শরীরের জামাকাপড় ছিঁড়ে শ্লীলতাহানী করা হয়। আহত মাহমুদা আক্তারকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা বিচার-শালিসের দায়িত্ব নেওয়ার পর রোববার সকালে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আহত নারীর স্বামী ইমরান হাসান পাভেল জানান, তার স্ত্রী দু’মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধকে কেন্দ্র করে তার স্ত্রীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তার স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি এ হামলার বিচার দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত বিএনপি কর্মী হানিফ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ওই নারীকে তারা মারধর করেননি—মোবাইলে লাইভ করছিলেন, তা বন্ধ করার সময় জোর-জবরদস্তি হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, ‘অন্তঃস্বত্ত্বা নারীকে মারধরের বিষয়ে অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন