উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, চলতি ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে এনসিপির মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে উন্নয়ন বরাদ্দ পাওয়া স্থানীয় মসজিদ-মন্দিরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য দেন।
বিএনপি–জামায়াতের সঙ্গে অ্যালায়েন্সের সম্ভাবনা উন্মুক্ত
জোট গঠনের বিষয়ে প্রশ্নে সারজিস আলম বলেন, বিএনপি–জামায়াতের সঙ্গে অ্যালায়েন্সের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আলোচনা চলছে। যারা সংস্কারের পক্ষে, জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষার পক্ষে, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে এবং মুসলিম সেন্টিমেন্ট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির রাজনীতি ধারণ করবে—তাদের সঙ্গে জোটের পথ খোলা আছে। খুব শিগগির বিষয়টিতে সুন্দর সমাধান মিলবে।
তিনি আরও জানান, আগেই জোট ঘোষণার পরিকল্পনা থাকলেও জোটের কাঠামো ও পরিসর আরও বড় করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ায় তা স্থগিত রাখা হয়েছে। তার ভাষায়, আমরা বড় পরিসরে জোট ঘোষণা করতে চাই। আশা করছি, খুব দ্রুতই বড় আকারে জোট প্রকাশ হবে।
জাপা থেকে আসা নেতাদের বিষয়ে ব্যাখ্যা
সদ্য ঘোষিত পঞ্চগড় জেলা কমিটিতে জাতীয় পার্টি থেকে আসা তিন নেতার অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সারজিস বলেন, যাদের ভালো ইমেজ আছে, মানুষ গ্রহণ করে, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা আছে, আমরা তাদেরই নেওয়ার চেষ্টা করেছি। তবে যারা গণঅভ্যুত্থানের সময় আওয়ামী লীগের যে কোনো ইউনিটে রানিং পদে ছিলেন, তাদের কাউকে দেশের কোথাও আহ্বায়ক বা সমন্বয় কমিটিতে রাখা হয়নি।
তিনি জানান, অনেকে আগে বিএনপি, জাগপা বা জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুক্ত থাকলেও গত আন্দোলনের সময় তারা কোনো সক্রিয় পদে ছিলেন না এবং পূর্বের রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে অসন্তুষ্ট হয়ে দূরে সরে যান। নতুন রাজনীতির চর্চা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে এনসিপির অবস্থান দেখে তারা দলে যোগ দিতে আগ্রহী হয়েছেন।
উন্নয়ন বরাদ্দে ‘অভূতপূর্ব অর্জন’ দাবি
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সারজিস আলম দাবি করেন, গত তিন মাসে জেলার ২০০ মসজিদ–মন্দিরের জন্য প্রায় চার কোটি টাকা উন্নয়ন বরাদ্দ এনেছি—যা গত ২০ বছরে বড় বড় এমপি-মন্ত্রীরাও আনতে পারেননি।
অনুষ্ঠানে এনসিপির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মী এবং জাতীয় যুব শক্তির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

