ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫

চাঁদপুরে বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ

মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০৬:৩৬ পিএম
মতলব উত্তরে ফরহাদ জুয়েলের হত্যার বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ফরহাদ জুয়েল (২৭) নামের এক যুবকের হত্যার বিচার দাবিতে লাশ নিয়ে থানার সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ছেংগারচর বাজার এলাকায় মতলব উত্তর থানার সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া স্বজন ও এলাকাবাসী ‘খুনিদের গ্রেপ্তার করো’, ‘ফরহাদের হত্যার বিচার চাই’, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও’—এমন নানা স্লোগানে থানার সামনের এলাকা মুখর করে তোলে।

বিক্ষোভ শেষে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) খাইরুল কবির ও মতলব উত্তর থানার ওসি মো. রবিউল হক। তারা ফরহাদ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস দেন।

নিহত ফরহাদ জুয়েল চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানী গ্রামের বাসিন্দা আবুল হাশেমের ছেলে। তিনি এক পুত্রসন্তানের জনক।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জুলাই সকালে বাড়ি থেকে বের হন ফরহাদ। এরপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। নিখোঁজের পরদিন, ৫ জুলাই সকালে হাইমচর উপজেলার নীলকমল এলাকার মেঘনা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। ফরহাদের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।

মানববন্ধনে ফরহাদের বাবা মো. আবুল হাশেম বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি, এখন চাই ন্যায়বিচার। দোষীরা যেন কোনোভাবেই রেহাই না পায়।’

স্ত্রী সূরবী আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছোট একটা সন্তান আছে, সে এখন পিতাহারা। আমি বিচার চাই, যেন আর কোনো পরিবার এভাবে না ভেঙে পড়ে।’

ফরহাদের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা বিচার চাই, যেন আর কোনো মায়ের বুক খালি না হয়।’

এ ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল কবির বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। গুরুত্বসহকারে তদন্ত চলছে। হত্যার পেছনের মূল কারণ উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।’

সহকারী পুলিশ সুপার আরও জানান, এর আগে এ দিন দুপুরে নিহত ফরহাদের বাবা আবুল হাশেম বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০-১৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে মতলব উত্তর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।