ঢাকা শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণের ঘটনা’ সালিসের মাধ্যমে ‘ধামাচাপার’ অভিযোগ

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০৬:৩৯ পিএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

যশোরের শার্শা উপজেলার উলাশী ইউনিয়নে দুই সন্তানের জননী (৩৮) বছরে এক মাঝ বয়সি নারীকে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পরদিন স্থানীয় মাতব্বররা সালিসের মাধ্যমে অভিযুক্তদের নামমাত্র শারিরীক শাস্তি ও তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করে। এদিকে এমন গুরুতর অপরাধের বিচার গ্রাম্য সালিসে হওয়ায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়, ভুক্তোভুগীর স্বামী খুলনায় ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। এদিকে প্রতিবেশী আক্তারের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৮) প্রায়শই ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করত।

গত মঙ্গলবার (১ মে) তার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আব্দুল্লাহ, আব্দুল গফুরের ছেলে আমজেদ আলী (৪৮) এবং টুকুর ঘর জামাই সিরাজ (৪৮) মিলে গৃহবধূকে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আমজেদ আলী, আব্দুল্লাহ ও সিরাজ পলাতক রয়েছে। বর্তমানে ভুক্তোভুগী গৃহবধূ পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র আরও জানায়, ঘটনাটি জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার গ্রামে সালিস বসানো হয়। কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন, আব্দুল আহাদ এবং আকবার আলী এই সালিসের নেতৃত্ব দেন। সালিসে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্তদের বেদম মারপিট করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ বিষয়ে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল হোসেন বলেন, এলাকাবাসীর অনুরোধে সালিসে বসা হয়েছিল। কিন্তু তিন লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

এ ঘটনা নিয়ে শার্শা থানার ওসি কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানতে পেরেই ভিকটিম গৃহবধূকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদ করার পর এ ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’