ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫

ঝালকাঠিতে তালাকের পরও ১৭ দিন আটকে রেখে ধর্ষণ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: জুলাই ৫, ২০২৫, ০৫:০৯ পিএম
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী। ছবি- সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় তালাক দেওয়ার পর ১৭ দিন আটকে রেখে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে নলছিটি উপজেলা প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী এ অভিযোগ করেন।

অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম গোলাম রাব্বি, তিনি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের তিমিরকাঠী এলাকার বাসিন্দা আজিজ মোল্লার ছেলে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট গোলাম রাব্বির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হতো। পরে তার পরিবার থেকে গোলাম রাব্বিকে সাত লাখ টাকা দেওয়া হয়। সেই টাকা দিয়ে বরিশালের বেলতলা এলাকায় ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে রেখে বিদেশে চলে যান তিনি।

ভুক্তভোগীর অভিযোগ, প্রবাসে থাকাকালীন রাব্বি মৌখিকভাবে তাকে তালাক দেন। এরপর তিনি ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কাজির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক তালাক সম্পন্ন করেন। তবে রাব্বি দেশে ফেরার পর ১৯ মার্চ ঢাকায় তার বড় বোনের বাসা থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যান এবং ২৯ মার্চ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বরিশালের বেলতলায় একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন।

তিনি আরও জানান, এরপর দপদপিয়া এলাকার এমদাদুল হকের ছেলে জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে তার পুনরায় বিয়ে হয়। বিয়ের পর গোলাম রাব্বি তার বিরুদ্ধে আদালতে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা আত্মসাতের মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপবাদ ছড়ান। এ মামলায় তিনি ১৩ দিন কারাবন্দি ছিলেন। বর্তমানে তিনি ও তার স্বামী পরিবারসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারীর বর্তমান স্বামী জাহিদুল ইসলাম ও শ্বশুর এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম রাব্বি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’