রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দী ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামে ধর্ষণের চেষ্টার সময় চাচাতো ভাইয়ের পুরুষাঙ্গ কর্তন করেছেন এক নারী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাত ৯টার দিকে ভুক্তভোগীর বাড়ির পাশে একটি খড়ের ঘরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তি জাহিদুল ইসলাম (৩৫)। স্থানীয়রা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাতেই তার অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। বর্তমানে তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন বলে পরিবার জানিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার দিন বিকেলে জাহিদুল ইসলাম ও ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় হামিরকুৎসা বাজার থেকে একসঙ্গে বাড়ি ফেরেন। তাদের হাতে দেশি পানীয় ‘স্পিড’-এর দুটি বোতল দেখা যায়। দীর্ঘক্ষণ পর খড়ের ঘর থেকে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে যান এবং দেখতে পান জাহিদুল রক্তাক্ত অবস্থায় বের হচ্ছেন। তার লুঙ্গি ছিল সম্পূর্ণ রক্তে ভেজা। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহীতে পাঠান।
ঘটনাস্থলে পাওয়া গেছে স্পিডের দুটি খালি বোতল, রক্তমাখা একটি স্যান্ডেল ও রক্তাক্ত কাপড়।
ভুক্তভোগী নারীর পরিবারের দাবি, এটি কোনো ইচ্ছাকৃত ঘটনা নয়; টিনে ধাক্কা লেগেই এমনটি হতে পারে। তবে ধর্ষণের চেষ্টার সময় ওই নারী আত্মরক্ষার্থে প্রতিরোধ গড়েছেন বলেই স্থানীয়দের ধারণা। ওই নারী ঘটনার বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
অন্যদিকে, জাহিদুল ইসলামের পরিবার জানান, এই সম্পর্ক নিয়ে অনেক আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন তারা। ঘটনার পর তারা পুরোপুরি হতবাক এবং কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা তারা জানেন না।
বাগমারা থানার ওসি মো. তৌহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :