সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে সিরাজগঞ্জে মোট ৫৭ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ বিআরটিএ কার্যালয়ে গিয়ে জানা যায়, ২০২৫ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত মোট ১১ জন ভুক্তভোগীর পরিবারকে এ অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট ৪৭ জনের আবেদন গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে আহত পুরুষ ১ জন, নিহত পুরুষ ২৭ জন এবং নিহত নারী ১৯ জন। সব মিলিয়ে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ লাখ টাকা।
আরও জানা যায়, ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৫২ ধারা অনুযায়ী গঠিত দুর্ঘটনা ক্ষতিপূরণ ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা, গুরুতর আহতকে ৩ লাখ টাকা এবং সামান্য আহতকে ১ লাখ টাকা করে সহায়তা প্রদান করা হয়। এসব ক্ষতিপূরণ পেতে দুর্ঘটনার ৩০ দিনের মধ্যে ফর্ম ৩২ এর মাধ্যমে আবেদন করা বাধ্যতামূলক।
সিরাজগঞ্জ জেলা সিএনজি চালিত অটোরিকশা, অটোটেম্পু ও হিউম্যান হলার মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল আমিন চৌধুরী পলাশ বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কোনো চালক বা ব্যক্তি দুর্ঘটনার শিকার হলে আমাদের সংগঠন থেকে পরিবারের স্বচ্ছলতার ওপর ভিত্তি করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পাশাপাশি সরকারি বিধি অনুযায়ী বিআরটিএর মাধ্যমে আবেদন করেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা অনুদান পেয়ে থাকেন।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান তালুকদার বলেন, বিভিন্ন প্রচারের মাধ্যমে এখন আমরা জানতে পারছি যে সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিআরটিএর ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়। এ অনুদানের পাশাপাশি গাড়িচালক ও ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তিদের আমরা নানাভাবে সহযোগিতা করে থাকি।
সিরাজগঞ্জ সার্কেল বিআরটিএর সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) শেখ মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা দেশব্যাপী একটি গভীর সামাজিক সমস্যা। একজন ব্যক্তি দুর্ঘটনায় আহত বা নিহত হলে পুরো পরিবার আর্থিক ও মানসিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিপূরণ শুধু একটি আইনি অধিকার নয়, এটি মানবিক সহায়তাও। এই সহায়তা ভুক্তভোগী পরিবারকে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করে। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।
সরকারি বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণার ফলে পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অনেক বেশি আবেদন আসছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহায়তা পেতে সহায়ক ভূমিকা রেখে চলেছে।


