ঢাকা মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর, ২০২৫

সড়কের কাজ ফেলে উধাও ঠিকাদার, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ১১:১৩ এএম
ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে সড়কের পাশ খুঁড়ে রেখে দীর্ঘদিন ধরে উন্নয়ন কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বারবার তাগাদা দিলেও কাজে ফিরছে না ঠিকাদাররা। এতে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। নাগরপুর-শাহজানী ভায়া গয়হাটা সড়কের সংস্কার ও উন্নয়ন কাজ শুরু হলেও কয়েকদিন পর কাজ ফেলে উধাও হয়ে যায় দুইটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সূত্র জানায়, জনগণের ভোগান্তি নিরসনে ‘সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের’ আওতায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় ৯৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা চুক্তিমূল্যে মেসার্স কৃষ্ণা স্টুডিও ও এমএস নাইস ট্রেডার্সকে কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সংস্কার কাজ ২ অক্টোবর ২০২৪ থেকে শুরু হয়ে ৩০ এপ্রিল ২০২৫-এ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠান দুটি কাজ অসমাপ্ত রেখে চলে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্ষায় বৃষ্টির পানি জমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এতে যানবাহনের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা পা ভিজিয়ে কাদায় হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। রোগী পরিবহনেও ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে টাঙ্গাইল নির্বাহী প্রকৌশলী কার্যালয় থেকে দুইটি কার্যাদেশ দেওয়া হয়। এর মধ্যে- মেসার্স কৃষ্ণা স্টুডিও: ৪৫০০-৮৬৮৫ মিটার অংশে মোট ৪.১৮৫ কিলোমিটার ও এমএস নাইস ট্রেডার্স: ০–৪৫০০ মিটার পর্যন্ত মোট ৪.৫ কিলোমিটার দুই প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে চুক্তিমূল্য প্রায় ৯৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

কিন্তু ঠিকাদাররা সড়কের এক পাশ কেটে কাজ বন্ধ রেখে চলে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন চালক ও পথচারীরা। এক ইজিবাইক চালক আবুল বলেন, ‘রাস্তার পাশে গর্ত থাকায় ওভারটেক করতে গিয়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।’

ব্যবসায়ী আলিম মিয়া বলেন, পণ্যবাহী ট্রাক-ভ্যান গর্তে আটকে যায়। সময়মতো মাল পৌঁছাতে পারছি না। এতে ব্যবসায়িক ক্ষতি হচ্ছে।

পশ্চিম দুয়াজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসা উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মীর সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুলের সামনে এমন গর্ত থাকায় বৃষ্টির পানি জমে থাকে। এতে শিশুদের বিদ্যালয়ে আসা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. তোরাপ আলী বলেন, ‘দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ রাখায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়েছে। পরে তারা হাইকোর্টে রিট করেছেন। আমরাও আইনজীবী নিয়োগ করেছি। রিট খারিজ হলে দ্রুত পুনরায় টেন্ডার আহ্বান করা হবে।’