রোববার বাদ মাগরিব উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের পার্কসংলগ্ন মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ.কে. রাতুলের জানাজা। বন্ধু, সহকর্মী, গুণমুগ্ধ অনুরাগীদের ভীড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মসজিদ প্রাঙ্গণ। দীর্ঘশ্বাস আর কান্নায় বিদায় জানানো হয় দেশের বিকল্প সংগীতজগতের এক নিরলস সাধককে।
আজ দুপুরে রাজধানীর উত্তরার একটি জিমে ব্যায়াম করার সময় হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন জনপ্রিয় ব্যান্ড ওউন্ড-এর ভোকালিস্ট ও বেজিস্ট এ.কে. রাতুল। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল প্রায় ৩৬ বছর।
শুধু গায়ক বা বেজিস্ট নয়, তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগীত পরিচালক ও সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার, যিনি তার শ্রম, মেধা আর ভালোবাসা ঢেলে গড়ে তুলেছিলেন একেকটি তরুণ ব্যান্ড। স্টুডিওতে বসে রাতভর কাজ, নতুনদের অনুপ্রেরণা দেওয়া, চুপিসারে সহযোগিতা করা-এই ছিল তার প্রতিদিনের রুটিন।
তার অকালপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ সংগীতাঙ্গন। ওউন্ড ব্যান্ডের সদস্য থেকে শুরু করে অনেক তরুণ-তরুণী যারা তার কাছে আশ্রয় খুঁজে পেয়েছিলেন, তারা বলছেন-‘রাতুল ভাই ছিলেন একেকজনের ছায়া, অভিভাবক, বড় ভাই। তিনি ছিলেন রক মিউজিকের নীরব যোদ্ধা।’
জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সংগীতের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন রাতুল। আর সেই সংগীতজগত থেকেই বিদায় নিলেন চিরদিনের জন্য। তার এই প্রস্থান শুধু একটি শিল্পীর মৃত্যু নয়, এটি একটি সময়ের, একটি অনুজপ্রেমী অভিভাবকের চলে যাওয়া। সংগীতাঙ্গনের এই শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়।
আপনার মতামত লিখুন :