উইম্বলডনে আরও একটি জয় তুলে নিয়ে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন টেনিস কিংবদন্তি নোভাক জোকোভিচ। ৩৮ বছর বয়সেও নিজেকে ফুরিয়ে না যাওয়ার বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বয়সে এসেও তরুণদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারছি এটা আমার সৌভাগ্য।’
উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে নিজেরই ডেভিস কাপ সতীর্থ মিয়মির কেচমানোভিচকে পরাজিত করেন জোকোভিচ। ম্যাচ শেষে ভক্তদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন,
এটা খুবই ঐতিহাসিক। দারুণ অনুভব করছি। আমি কৃতজ্ঞ ও গর্বিত।
তিনি আরও বলেন, টেনিস আমাকে আজকের এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। জীবনে যা কিছু অসাধারণ পেয়েছি, তার অনেকটাই এই খেলার জন্য। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এবং কিছুই সহজভাবে নেই না।
উইম্বলডন প্রসঙ্গে জোকোভিচ বলেন, এই টুর্নামেন্ট শুধু আমার নয়, বরং পৃথিবীর অধিকাংশ খেলোয়াড়ের স্বপ্ন। ছোটবেলা থেকেই এখানে খেলার স্বপ্ন দেখে সবাই। আমি সৌভাগ্যবান যে, বহুবার এখানে শিরোপা জিতেছি।
প্রথম সেটের শুরু ও শেষ দুর্দান্ত ছিলেন জোকোভিচ। অষ্টম গেমে তিনি প্রতিপক্ষের সার্ভিস ব্রেক করে সেট জিতে নেন। ওই সময় তার এক দুর্দান্ত ডাইভিং শট কোর্টে উপস্থিত দর্শকদের দাঁড়িয়ে করতালি দিতে বাধ্য করে।
দ্বিতীয় সেটের শুরু থেকেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি জোকোভিচের হাতে চলে আসে। তৃতীয় সেটের শুরুতে কেচমানোভিচ কিছুটা লড়াই করলেও তৃতীয় গেমে এক ডাবল ফল্টে ম্যাচ কার্যত জোকোভিচের পক্ষে হেলে পড়ে।
বন্ধুর বিরুদ্ধে জয়, তবু শ্রদ্ধা অটুট
জয়ের পর জোকোভিচ বলেন, শেষের কয়েকটি গেম বাদ দিলে আমি দারুণ উপভোগ করেছি। তবে বন্ধু ও দেশের সতীর্থের বিপক্ষে খেলা সহজ নয়।
মিয়মির একজন চমৎকার মানুষ, বহু বছর ধরে আমরা একে অপরকে চিনি। আমরা প্রতিযোগী হলেও তার চেয়ে বেশি বন্ধু। আমি ওর জন্য শুভকামনা জানাই।
আগামী রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় অ্যালেক্স ডি মিনাউরের মুখোমুখি হবেন জোকোভিচ।