পরকীয়ায় অভিযোগে স্ত্রীর মাথা কেটে নিয়ে থানায় হাজির হয়েছের স্বামী। রোমহর্ষক এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুর আনেকল এলাকায়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবাহবহিভূত সম্পর্কের অভিযোগে বিতণ্ডায় জড়িয়ে ২৬ বছর বয়সি মানাসাকে শিরোশ্ছেদ করে হত্যা করেছেন স্বামী শঙ্কর।
পুলিশ সূত্রের মতে, শঙ্কর ও মানাসা দম্পতির একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। কিছুদিন আগে তারা আনেকলের হিলালিগে গ্রামে একটি ভাড়া বাড়িতে ওঠেন। গত ৩ জুন রাতে শঙ্কর কাজে যাওয়ার সময় মানাসাকে জানান, তিনি পরদিন সকালে ফিরবেন।
কিন্তু তিনি তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করে অপ্রত্যাশিতভাবে সেই রাতেই বাড়ি ফিরে আসেন এবং মানাসাকে অন্য একজন পুরুষের সঙ্গে দেখতে পান। এরপর তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয় এবং মানাসা বাড়ি ছেড়ে চলে যান।
পরের দিনগুলোতে মানাসা কয়েকবার বাড়িতে ফিরে আসেন এবং স্বামী শঙ্করকে উত্ত্যক্ত করেন। হত্যার আগের রাতে তিনি আবার বাড়িতে এসে হট্টগোল সৃষ্টি করেন, যা শঙ্করের ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। বারবার উত্ত্যক্তের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে শঙ্কর মানাসাকে হত্যা করেন। এরপর তার কাটা মাথা নিয়ে সূর্যনগর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
বেঙ্গালুরুর পুলিশ সুপারিন্টেন্ডেন্ট (এসপি) সি কে বাবা বলেন, ‘গত রাতে এই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার সময় স্বামী তার স্ত্রী মানাসাকে মারধর করে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। তিনি তার শিরশ্ছেদ করে কাটা মাথা নিয়ে থানায় এসে অপরাধের কথা স্বীকার করেন। আমরা তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছি।’
এ ঘটনায় শঙ্করকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।