ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

জাতিসংঘের অভিযোগ

‘গাজায় ইসরায়েল একটির পর একটি যুদ্ধাপরাধ করছে’

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৫, ১০:২০ এএম
ইসরায়েলি হামলায় ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজার চিত্র। ছবি- সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানি বাড়তে থাকায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘ইসরায়েল একটির পর একটি ‘যুদ্ধাপরাধ’ করছে এবং গাজার ধ্বংসযজ্ঞের মাত্রা ‘বিশ্বের বিবেককে’ নাড়া দিচ্ছে।’

এদিকে ‘ইসরায়েলের’ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজা শহরের মানুষকে এলাকা ছেড়ে ‘চলে যেতে’ হুমকি দিয়েছেন। এ ছাড়া সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় আরও ৫২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৫শ ছাড়িয়েছে। সংবাদমাধ্যম ‘প্যালেস্টাইন ক্রনিকল’ বলছে, গাজায় ৭০৪ দিনে ইসরায়েলি হামলায় ৬৪ হাজার ৫২২ জন নিহত এবং আহত আরও ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৬ জন। এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৯ হাজারের বেশি লোক।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা শহরের বাসিন্দাদের ‘এখনই চলে যেতে’ হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একইসঙ্গে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রধান বেসামরিক মানুষকে গণহত্যা এবং জীবনরক্ষাকারী সহায়তা সরবরাহ ইচ্ছাকৃতভাবে বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ইসরায়েলের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলছে, ফলকার তুর্ক গাজায় ‘রক্তপাত বন্ধের’ আহ্বান এমন এক সময়ে জানিয়েছেন যখন ইসরায়েলি বাহিনী গাজা শহরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এবং নগরীতে স্থল অভিযান চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০টিরও বেশি ভবন ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ১০০টির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। সংস্থাটির মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল অভিযোগ করেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে বাস্তুচ্যুত পরিবারের শিবিরসংলগ্ন আবাসিক ভবনগুলোতে আঘাত হানছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০০টিরও বেশি তাঁবু ধ্বংস হয়েছে।

মাহমুদ বাসাল আরও জানান, তুফাহ এলাকায় ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার অভিযান চলছে। সেখানে ইসরায়েলি বোমায় আজ-জারকা জেলায় ভবন মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। মসজিদ ও খেলাধুলার মাঠও হামলার নিশানায় ছিল।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে গাজায় প্রায় ২৫০ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, যাদের সবাই ফিলিস্তিনি। ইসরায়েল বিদেশি সংবাদকর্মীদের গাজায় প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। আধুনিক ইতিহাসে সাংবাদিকদের জন্য এটিই সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত।