গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ‘ইসরায়েলি’ হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি ফুটবলের কিংবদন্তি খেলোয়াড় সুলেমান আল-ওবাইদ (৪১)। তাকে ‘ফিলিস্তিনি পেলে’ নামেও ডাকা হতো। এ ঘটনায় ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা (উয়েফা) সুলেমান আল-ওবাইদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেও উল্লেখ করেনি তার মৃত্যুর প্রেক্ষাপট। আর এ জন্যই উয়েফার ওপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিভারপুল ও মিসরীয় ফুটবলের রাজা মোহাম্মদ সালাহ। সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ৪১ বছর বয়সি আল-ওবাইদ বুধবার দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় মানবিক সহায়তার অপেক্ষায় থাকা বেসামরিক মানুষের ওপর ‘ইসরায়েলি’ হামলায় নিহত হন।
উয়েফা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক সংক্ষিপ্ত পোস্টে তাকে স্মরণ করে লিখেছে, ‘এক প্রতিভা, যিনি অন্ধকারতম সময়েও অসংখ্য শিশুকে আশা জুগিয়েছেন।’
এর জবাবে সালাহ লিখেছেন, ‘আপনারা কি বলতে পারেন, তিনি কীভাবে, কোথায় এবং কেন মারা গেছেন?’ স্বভাবতই তিনি উয়েফার পোস্টে ‘ইসরায়েলি’ বর্বরতার কথা উল্লেখ না থাকার সমালোচনা করেছেন।
এ ঘটনায় বার্তা সংস্থা রয়টার্স যোগাযোগ করলেও উয়েফার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
৩৩ বছর বয়সি মিসরীয় তারকা সালাহ অতীতে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পক্ষে সরব ছিলেন। প্রায় দুই বছর ধরে চলা যুদ্ধে তিনি বহুবার সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) নামে সহায়তা বিতরণ ব্যবস্থা চালুর পর থেকে সহায়তা বিতরণ কেন্দ্র ও ত্রাণ বহরের কাছে এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।