ঢাকা শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

শিগগিরই জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে: ইসরায়েল

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২২, ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
গাজা উপত্যকায় নতুন করে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি ‘ইসরায়েল’র। ছবি- সংগৃহীত

হামাস যদি নিরস্ত্র না হয়, সব জিম্মি মুক্ত না করে এবং ‘ইসরায়েল’র শর্তে যুদ্ধ শেষ না করে, তবে গাজা নগর ধ্বংসের হুমকি দিয়েছেন ‘ইসরায়েল’র প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ। গাজা উপত্যকায় নতুন করে সামরিক অভিযানের প্রস্তুতির মধ্যেই এ হুমকি দিলেন তিনি।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটজ লিখেছেন, “শিগগিরই গাজায় হামাসের খুনি ও ধর্ষকদের মাথার ওপর জাহান্নামের দরজা খুলে যাবে—যতক্ষণ না তারা ‘ইসরায়েল’র যুদ্ধবিরতির শর্ত, বিশেষত জিম্মিদের মুক্তি ও নিরস্ত্রীকরণ মেনে নেয়।” তিনি আরও বলেন, ‘যদি তারা রাজি না হয় তবে হামাসের রাজধানী গাজা সিটি রাফাহ ও বেইত হানুনের মতো পরিণতি ভোগ করবে।’

এর একদিন আগে ‘ইসরায়েল’র প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সেনাবাহিনীকে গাজা সিটি দখলের অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, জিম্মি মুক্তির জন্য অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এই অভিযান চলাকালেই জিম্মিদের মুক্ত করতে হবে।

গাজা নিয়ে ‘ইসরায়েল’র পরিকল্পনা

ইতোমধ্যে প্রায় ৬০ হাজার ‘ইসরায়েলি’ রিজার্ভ সেনা ডাকার অনুমোদন দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘হামাসকে পরাজিত করা এবং আমাদের সব জিম্মিকে মুক্ত করা—এই দুই বিষয় একসঙ্গে চলবে।’

এদিকে, মধ্যস্থতাকারীরা কয়েকদিন ধরে নতুন যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইসরায়েল’র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছে, যেটি হামাস ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছে। ওই প্রস্তাবে ধাপে ধাপে জিম্মি মুক্তির কথা বলা হয়েছে, তবে ‘ইসরায়েল’ সব জিম্মিকে একসঙ্গে মুক্তির দাবি জানাচ্ছে।

গাজা সিটি দখলের পরিকল্পনায় আন্তর্জাতিক মহল ও দেশটির অভ্যন্তরে সমালোচনা বাড়ছে। হামাসের নেতৃত্বে গত ২০২৩ সালের অক্টোবরে ‘ইসরায়েলে’ হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়েছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ‘ইসরায়েলি’ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। জাতিসংঘও এ তথ্যকে নির্ভরযোগ্য বলে মনে করে।