ঢাকা রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াবে ইরান: আয়াতুল্লাহ খামেনি

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৪, ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ছবি- সংগৃহীত

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় ইরান তার আজ্ঞাবহ হয়ে থাকুক। কিন্তু ইরানি জনগণ এমন গুরুতর অপমানের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে খামেনি বলেন, ‘তারা ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রের অনুগত করতে চায়। ইরানি জনগণ তাদের এ ভ্রান্ত প্রত্যাশার বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে রুখে দাঁড়াবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা আমাদের বলেন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্লোগান না দিতে, সরাসরি আলোচনায় বসতে, তারা কেবল বাহ্যিক দিকটিই লক্ষ করেন। এ ইস্যুর কোনো সমাধান নেই।’

আয়াতুল্লাহ খামেনির এই বক্তব্য আসে এমন সময়ে যখন গত শুক্রবার ইরান ও ইউরোপীয় শক্তিগুলো তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার লক্ষ্যে পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় ফেরার উদ্যোগে সম্মত হয়।

ফ্রান্স, জার্মানি ও ব্রিটেন জানিয়েছে, তেহরান আলোচনায় না ফিরলে তারা জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের জন্য ‘স্ন্যাপব্যাক’ প্রক্রিয়া সক্রিয় করতে পারে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চুক্তির যেকোনো পক্ষ ইরানকে ‘অমান্যকারী’ ঘোষণা করে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহালের অনুরোধ জানাতে পারবে। ইউরোপের দেশগুলোর অভিযোগ, ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে।

আর এই অভিযোগের ভিত্তিতেই তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে স্ন্যাপব্যাক প্রক্রিয়া চালু করার ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছে, যা চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

তবে তেহরান বারবার বলেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

২০১৫ সালে ইরান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে এক ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করে, যেখানে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরান তার পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করতে সম্মত হয়। তবে ২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় এসে চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান এবং ‘সর্বোচ্চ চাপ’ নীতি অনুসরণ করে পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। চুক্তির বিরোধিতা করেছিল ইসরায়েলও।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জুনে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পারমাণবিক আলোচনার ষষ্ঠ দফা শুরুর আগমুহূর্তে ১২ দিনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে ইরান ও ‘ইসরায়েল’। এতে আলোচনাও ভেস্তে যায়।