ঢাকা শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

ভারতীয় ‘প্রক্সি গোষ্ঠী’র ১৪ সন্ত্রাসী বেলুচিস্তানে নিহত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ০৫:২২ পিএম
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ছবি- সংগৃহীত

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশে বেলুচিস্তানে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে ভারতীয় ‘প্রক্সি গোষ্ঠী’ ফিতনা আল-হিন্দুস্তানের অন্তত ১৪ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) প্রদেশটির খুজদার জেলার জেহরি এলাকায় এই অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এতে আরও ২০ জন সন্ত্রাসী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

নিরাপত্তা সূত্রের বরাতে জিও নিউজ জানায়, ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির খবর পাওয়ার পর অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এতে অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে। নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, ফিতনা আল-হিন্দুস্তানের অবশিষ্ট সন্ত্রাসীদের নির্মূলেও তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এর আগে বেলুচিস্তানের শেরানি জেলায় পরিচালিত একটি গোয়েন্দা-ভিত্তিক অভিযানে সাতজন ভারত-সমর্থিত সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল। পাকিস্তানের আইএসপিআর জানায়, ভারতীয় প্রক্সি ফিতনা আল খোয়ারিজ বা নিষিদ্ধ ঘোষিত তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর উপস্থিতির তথ্যের ভিত্তিতে ওই অভিযান চালানো হয়। তীব্র গোলাগুলির পর সাতজন সন্ত্রাসী নিহত হয় বলে আইএসপিআর জানিয়েছে।

পাকিস্তানে বেড়েছে সহিংসতা

এদিকে, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (সিআরএসএস) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে পাকিস্তানে সহিংসতা ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে দেশজুড়ে ৩২৯টি সহিংস ঘটনার মধ্যে ৯০১ জন নিহত ও ৫৯৯ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে বেসামরিক নাগরিক, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য এবং সন্ত্রাসী।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২০২৪ সালের পুরো বছরের সমান। ২০২৪ সালে দুই হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়েছিল, আর ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৫৪৬ জনে।

তৃতীয় প্রান্তিকে নিহতদের মধ্যে ৫১৬ জন ছিল সন্ত্রসী। বাকি ৩৮৫ জনের মধ্যে বেসামরিক নিহত হয়েছে ২১৯ জন এবং নিরাপত্তা বাহিনীর মারা গেছেন ১৬৬ জন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) ও বেলুচিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সহিংসতা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে। এই দুই প্রদেশেই সারাদেশের সহিংসতার ৯৬ শতাংশের বেশি ঘটেছে।

কেপি-তে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে, যেখানে ৬৩৮ জন নিহত এবং ২২১টি ঘটনা ঘটেছে। এর পরেই রয়েছে বেলুচিস্তান, যেখানে নিহত হয়েছে ২৩০ জন এবং ঘটনা ঘটেছে ৮৫টি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে কেপি-তে প্রাণহানি বেড়েছে ৬৪ শতাংশ এবং বেলুচিস্তানে বেড়েছে ২১ শতাংশ।