বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম

গাজা নিয়ে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে টনি ব্লেয়ার

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ২৮, ২০২৫, ০৯:৫৩ এএম

ট্রাম্প-টনি ব্লেয়ার। ছবি- সংগৃহীত

ট্রাম্প-টনি ব্লেয়ার। ছবি- সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। বৈঠকে গাজা যুদ্ধ-পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, টনি ব্লেয়ার ২০০৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পর কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্য দূত হিসেবে কাজ করেন। সে সময় তিনি ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও দ্বি-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের পরিবেশ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।

এদিকে ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরের দিনগুলো নিয়ে একটি ‘খুব বিস্তৃত’ পরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। তবে বৈঠক সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হয়নি।

ট্রাম্প ব্লেয়ার বৈঠকটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হলো যখন ইসরায়েলি সেনারা ফিলিস্তিনিদের সতর্ক করে জানিয়েছে ‘গাজা সিটি খালি করা অনিবার্য’। এরই মধ্যে শহরের নতুন এলাকায় প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক, ধ্বংস করেছে বাড়িঘর, ফলে বহু বাসিন্দা নতুন করে আবারও বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

গাজায় এখনো প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন এবং ইতোমধ্যে হাজারো মানুষ শহরের বিভিন্ন অংশে চলে গেছেন। চলতি আগস্টের শুরুতে ইসরায়েল পুরো গাজা দখলের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। গাজা সিটিকে তারা হামাসের শেষ ঘাঁটি হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

এদিকে জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা সতর্ক করেছে—গাজা সিটিতে সামরিক অভিযান ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। কারণ গত সপ্তাহেই সেখানে দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা (যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া) এক বিবৃতিতে গাজার দুর্ভিক্ষকে ‘মানবসৃষ্ট সংকট’ আখ্যা দিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, মানবিক সহায়তার ওপর সব ধরনের বাধা অবিলম্বে ও শর্তহীনভাবে তুলে নিতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে ‘ক্ষুধাকে’ ব্যবহার করা নিষিদ্ধ।

প্রসঙ্গত, টানা প্রায় দুই বছর ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার জনসংখ্যার বেশির ভাগই একাধিকবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ৯০ শতাংশেরও বেশি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। স্বাস্থ্য, পানি, পয়োনিষ্কাশন ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।

এ ছাড়া জাতিসংঘ সমর্থিত খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন যে, গাজা সিটিতে দুর্ভিক্ষ চলছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!