বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি নতুন সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর নতুন ঘাঁটির উদ্বোধন করা হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত প্রতিরক্ষা জোরদারে আসামের ধুবরিতে নতুন সেনা স্টেশন গড়ে তোলা হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি সীমান্তঘেঁষা চোপড়ায় নবনির্মিত ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। এই ঘাঁটিটি বাংলাদেশের পঞ্চগড় সীমান্তের খুব কাছেই অবস্থিত।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্স তাদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে বলছে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি চোপড়ায় মোতায়েন করা সেনাদের ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেনা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালুর ক্ষেত্রে তাদের অটল উদ্যম, পেশাদারত্ব ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। তিনি তাদের সর্বোচ্চ মানের কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সক্রিয় থাকতে বলেছেন।
পোস্টে বলা হয়, চোপড়া বিধানসভা এলাকার বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং অন্যান্য বেসামরিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নে সামরিক-বেসামরিক সহযোগিতার গুরুত্বও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি আসাম সীমান্তে গজরাজ কর্পসও পরিদর্শন করেন এবং ধুবরির বামুনিগাঁওয়ে লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড বলছে, আহোম সাম্রাজ্যের কিংবদন্তি সেনাপতি লাচিত বরফুকনের নামে এই নতুন সামরিক স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে, যা সাহস, নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার অদম্য চেতনাকে প্রতিফলিত করে, যা নবজাগ্রত আসামের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।
এতে বলা হয়, এই অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যক্ষমতা ও অবকাঠামোগত শক্তি বৃদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে এ স্টেশন প্রতিষ্ঠা।
পরিদর্শনকালে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার তিওয়ারি সীমান্তের কার্যকরী প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে যেসব প্রকল্প চলছে, সেগুলোর অগ্রগতি তিনি প্রত্যক্ষ করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন