স্বৈরাচার তাড়ানো তরুণরাই আগামীর বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ছাত্রশিবির আয়োজিত ডাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। একই দিনে রাজধানীর পল্টনে দলের মহানগরী দক্ষিণ কার্যালয়ে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের দাবি করেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে যারা গণভোট চায় না, তারা ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনে ভয় পেয়েছে।
জামায়াতের আমির বলেছেন, ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি সব সময় তারুণ্যের বিকাশের পক্ষে। তরুণরা কেমন বাংলাদেশ চায়, তার রিহার্সাল হচ্ছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনগুলোয়। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করছি। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণামুখী করতে প্রতিটি ছাত্র সংসদকে সোচ্চার থাকতে হবে। ভবিষ্যতের বৃহৎ নেতৃত্বের জন্য এখনকার তরুণদের প্রস্তুতি নিতে হবে। স্বৈরাচার তাড়ানো তরুণদের বিষয়ে জামায়াত আমির বলেন, যে তরুণরা দুর্বার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পর্বত সমান হস্তীকে দেশ থেকে তাড়িয়েছে, তারাই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।
একই দিন ভিন্ন এক আলোচনা সভায় নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে যারা গণভোট চায় না, তারা ডাকসু (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ) নির্বাচনে ভয় পেয়েছে। ডাকসুতে পরাজয়ের পর তারা জাকসু, চাকুস, রাকসু নির্বাচন বন্ধে কত শত ষড়যন্ত্র করেছে, তা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশবাসীও দেখেছে। তারা বুঝতে পারছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে যদি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়, তাহলে পরাজয়ের ভরাডুবি খেতে হবে। সে জন্য তারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যেভাবে বিরোধিতা করেছে, একইভাবে গণভোটের বিরোধিতা করছে।’ তাহের বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের সময় বিএনপি ছিল বড় দল। আজ সেই জায়গা নিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। আমরা বলতে চাই না, কিন্তু আমাদের শুনতে হয় আজকের বিএনপি সেই জিয়াউর রহমানের বিএনপি নয়। জনগণের আস্থাশীল হতে হলে আজকের বিএনপিকে জিয়াউর রহমানের বিএনপি হতে হবে।’
গণভোট প্রসঙ্গে তাহের বলেন, ‘সময়ক্ষেপণ করে লাভ নেই। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে। যতই চালাকি করে সময় নষ্ট করা হোক না কেন, আগে গণভোট, তারপর জাতীয় নির্বাচন হতে হবে। নতুবা জনগণ ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের চেতনায় আবার রাজপথে নেমে আসবে।’ সংকট সৃষ্টি না করে এ মাসের মধ্যে গণভোট সম্পন্ন করে জুলাই সনদের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন