ঢাকা রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫

চলনবিল রক্ষায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থানান্তরের দাবি

চারঘাট (রাজশাহী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৫:৫৮ এএম

বড়াল ও চলন বিল রক্ষায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রস্তাবিত বুড়ি পোতাজিয়া স্থান থেকে বিকল্প জায়গায় স্থানান্তরের দাবিতে রাজশাহীর চারঘাটে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় চারঘাট উপজেলা শাখা বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) আয়োজনে ফরহাত আলাউদ্দিন মডেল স্কুলের হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাপা চারঘাট উপজেলা শাখার সভাপতি কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চারঘাট উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সনি আজাদ।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, চলনবিল অঞ্চলের ৬টি জেলা, ৪১টি উপজেলা, ১ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ৪৭টি নদী ও ১৬৩ বিল, ৩০০টির বেশি ক্যানেল, ১ লাখ ২০ হাজার পুকুর এবং বড় বড় বেশ কয়েকটি পাথার আছে। এ অঞ্চলে চলনবিলের সুবিধাভোগী মানুষের সংখ্যা পরোক্ষভাবে প্রায় ১ কোটি। এ ছাড়া ১০৫ প্রজাতির দেশীয় মাছ, ৩৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, সাত প্রকারের উভচর প্রাণী, ৩৪ প্রজাতির পাখি অসংখ্য প্রকারের জলজ উদ্ভিদ, জলজ প্রাণী, চলনবিল অঞ্চলে বসবাস করে। যারা এই অঞ্চলে পানি প্রবাহের ওপরে জীবনধারণ ও জীবিকা নির্বাহ করেন। বুড়ি পোতাজিয়া এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ হচ্ছে নদীর প্রবাহ মুখে।

এ-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হলে প্রায় ৪০ ফিট উচ্চতায় বালি ভরাট করা হয় এ এলাকায়। ফলে চলনবিল অঞ্চল পানি প্রবাহে ব্যাপক বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবং ওই স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করলে চলনবিল অঞ্চলের ১ কোটি মানুষ পরিবেশগতভাবে ব্যাপক হুমকির মধ্যে পড়বে। আরও বলা হয়, আমরা চলনবিলও চাই, আবার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ও চাই। তাই রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চলনবিল রক্ষা আন্দোলনের সদস্য সচিব ও বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান, পাবনা পরিবেশকর্মী ডা. আতিক, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, চারঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক প্রমুখ।