গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ ফজর শুরু হয়েছে শুরায়ে নেজামের পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে আগামী মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) শেষ হবে এ বছরের এই ধর্মীয় সমাবেশ।
শুরায়ে নেজামের এই জোড় ইজতেমা তাবলিগ জামাতের বার্ষিক কার্যক্রমের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতিমূলক ধাপ। প্রতি বছর মূল বিশ্ব ইজতেমার প্রায় ৪০ দিন আগে এটি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে দেশ-বিদেশের বহু সঙ্গী, শুরাহি মুরুব্বি ও মাওলানারা অংশ নেন।
শুরায়ে নেজামের গণমাধ্যম সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান জানান, বছরের দাওয়াতি কাজের মূল্যায়ন, দিকনির্দেশনা গ্রহণ এবং পরবর্তী বছরের কর্মপরিকল্পনা ঠিক করার জন্য জোড় ইজতেমা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এরই মধ্যে দেশ-বিদেশের বহু সঙ্গী টিনশেড মসজিদে সমবেত হতে শুরু করেছেন, যেখানে শুরায়ের মুরুব্বিরা গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও নসিহত রাখবেন।
জোড় ইজতেমাকে ঘিরে ময়দানে থাকা সঙ্গীদের জন্য থাকা-খাওয়া, বিরতি, নামাজ, খুৎবা ও বয়ানের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানান, পাঁচ দিনব্যাপী এই জোড় ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ময়দানের আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথগুলোতে তল্লাশি চলবে। এ ছাড়া যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, জনসমাগম ব্যবস্থাপনা ও রাত্রীকালীন নিরাপত্তায়ও তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।
ইজতেমা মাঠে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিদেশ থেকে আগত মুসল্লি ও চিল্লাধারী সঙ্গীদের উপস্থিতিতে এক ভিন্নধর্মী আধ্যাত্মিক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, চিল্লার কারগুজারি, বয়ান, তাসবিহ-তাহলিলসহ ইসলামি চর্চার বিভিন্ন কার্যক্রম চলবে।
ইজতেমার সর্বশেষ দিন মঙ্গলবার সকালে আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্থানীয় মুসল্লিসহ দেশ-বিদেশের বহু অনুসারীর অংশ নেওয়ার আশা করা হচ্ছে। আয়োজক ও প্রশাসন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবারের জোড় ইজতেমা সম্পন্ন হওয়ার প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন।


