নাটোরের বড়াই গ্রামে নিখোঁজের ছয় ঘণ্টা পর তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র মিনহাজ হোসেন আবির (৮) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত ৯টার দিকে উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের মহিষভাঙ্গা এলাকার নির্মাণাধীন একটি মসলার মিলের পাশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আবীর বনপাড়া পৌর শহরের মহিষভাঙ্গা মহল্লার মিলন হোসেনের একমাত্র ছেলে। সে স্থানীয় একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে আবীর সাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়। তার কাছে একটি দামি মোবাইলও ছিলো। সন্ধ্যা গড়িয়ে এলেও আবীর বাড়িতে না ফেরায় মা-বাবা ও স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে বের হয়।
নিখোঁজের ৫ ঘণ্টা পর রাত ৯টার দিকে আবীরের রক্তমাখা সাইকেলটি এলাকার মসলা ফ্যাক্টরির পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনরা। এরপর মাটিতে রক্তের দাগ অনুসরণ করে নির্মাণাধীন ফ্যাক্টরি সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতের পাশ থেকে তার রক্তমাখা নিথর দেহ খুঁজে পাওয়া যায়।
এ সময় তার মাথার আশেপাশে কয়েকটি আস্ত ইট পাওয়া যায়। যা দিয়ে আবীরের মাথায় ও মুখে উপর্যুপরি আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।
শিশু আবীরের পিতা মিলন হোসেন সৌদি প্রবাসী। গত কোরবানি ঈদের আগে বাড়িতে আসেন তিনি। ছেলের লাশ জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, চিৎকার করে কান্না করে বার বার বলছিলো ‘এভাবে আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের লাশও আমি দেখে মরতে চাই। আমি খুনীদের ফাঁসি চাই।’
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন জানান, ‘এই নৃশংস হত্যাকান্ড যারাই ঘটিয়েছে তারা কেউই আইনের জাল থেকে বের হয়ে যেতে পারবে না। ইতোমধ্যে খুনিদের চিহ্নিত ও আটক করতে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার টিম মাঠে নেমেছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি খুনিদের আটক করতে সক্ষম হবো।’