ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

কড়াইল বস্তির ভয়াবহ আগুনে নিঃস্ব হাজারো পরিবার

রূপালী প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৭:০৫ পিএম
আগুনে নিঃস্ব রাজধানীর কড়াইল বস্তির হাজারো পরিবারের আশ্রয় এখন খোলা আকাশের নিচে। ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তেই সর্বস্ব হারিয়েছেন হাজারো বাসিন্দা। ১৬ ঘণ্টার দীর্ঘ আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে অন্তত দেড় হাজার বসতঘর ও দোকানপাট। ঘরবাড়িহীন হয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটছে ভুক্তভোগীদের। ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় তারা। আগুনের কারণ অনুসন্ধানে ইতোমধ্যে বিশেষ তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

বস্তিবাসীর বিলাপ এখন শুধুই সর্বস্ব হারানোর বেদনা। বিকেল পর্যন্ত যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল, মুহূর্তেই তা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে। এখন সম্বল শুধু আকাশ আর পোড়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ।

এক অসহায় ভুক্তভোগী বলেন, ‘আমরা তো অসহায়, অসহায় ছাড়া আর কিছু না।’

মিনারা বেগম নামের এক নারী হারিয়ে ফেলেছেন তার মা হোসনে আরাকে। ধ্বংসস্তূপের মাঝে তাকে খুঁজে ফেরার ব্যাকুল ছুটোছুটি এখনো থামেনি। তিনি বলেন, ‘আমার মাকে খুঁজতেছি। সবাই আসছে, আমার মা আসে নাই। একটু দেখেন, আমার মাকে খুঁজে দেন।’

পোড়া মালামালের ভেতর থেকে যা বাঁচানো যায়, সেটুকু উদ্ধার করার মরিয়া চেষ্টা করছে বস্তিবাসী। কেউ কেউ এক কাপড়েই বের হয়ে প্রাণে রক্ষা পান।

আরেক নারী বলেন, ‘কিচ্ছু বাঁচাতে পারিনি। বউ-ঝি, নাতি-এক কাপড়ে বের হইছি।’

গুলশান ও বনানীর মাঝামাঝি প্রায় ৯০ একর জায়গাজুড়ে কড়াইল বস্তি। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৬টি ইউনিট এখনো ঘটনাস্থলে কাজ করছে। দেড় হাজারের বেশি বাসা ও দোকান পুড়ে গেলেও কোনো হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, ‘উদ্ধার অভিযান শেষ হলে তদন্তের পর ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ জানা যাবে।’