মোহিত সুরির ‘সাইয়ারা’ নিয়ে আলোচনা থামার নামই নিচ্ছে না। ছবি তো শুরুতেই হিট, গানও চার্টে তুফান তুলেছে। টাইটেল ট্র্যাক ‘সাইয়ারা’ এখন স্পটিফাই গ্লোবাল চার্টে চতুর্থ। অথচ এই জোয়ারে হঠাৎই উঠেছে এক তিক্ত প্রশ্ন- এই সুর কি সত্যিই নিজের, না কি অন্য কারো সুর
নেটদুনিয়ায় কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, এই গানের সুর নাকি হুবহু মেলে ওয়ান ডিরেকশনের বিখ্যাত ‘নাইট চেঞ্জেস’ কিংবা জুবিন নাটিয়ালের ‘হুমনাভা মেরে’ গানটির সঙ্গে। যেন পুরোনো প্রেমের চিঠি নতুন খামে পাঠানো।’

গসিপ গড়াতে গড়াতে পৌঁছেছে তনিষ্ক বাগচীর দুয়ারে। তিনি নীরব থাকেননি। বরং একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি যাই করি না কেন, মানুষ কিছু না কিছু বলবেই। ওদের কাজই তো সেটা- একটু খোঁচা দেওয়া। কিন্তু গানটা যেখানে পৌঁছানোর কথা ছিল, সেখানেই পৌঁছেছে- এই তো সাইয়ারার প্রমাণ।’
তবে শুধু ব্যাখ্যা নয়, তনিষ্ক যেন সুরের বিজ্ঞান তুলে ধরেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করলেন। বললেন, ‘মেলোডির দিক থেকে অনেক গানের কর্ডই এক থাকে। এ মাইনর স্কেলে মাত্র ৩-৪টা কর্ডই চলে। কিন্তু প্রতিটা সুরের একটা নিজস্ব আত্মা থাকে। এর মানে এই না যে, আমরা কিছু চুরি করেছি।’
তনিষ্কের দাবি, ‘আমরা গানটার আবেগ নিয়ে কাজ করেছি, সেটাই শ্রোতার সঙ্গে সংযোগ ঘটিয়েছে। এটাই সাইয়ারার জাদু।’
এই ‘জাদু’ যে কাজ করেছে, তা তো আর অস্বীকার করার উপায় নেই। আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার জুটির এই রোমান্টিক থ্রিলারের মধ্যেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে।

মুক্তির ১১ দিনের মাথায় শুধু ভারতেই আয় করেছে ২৫৬ কোটি রুপি। যদিও ওভারহাইপড তকমাও জুটে গেছে ইতোমধ্যেই। তবু এসব নিয়ে একদমই চিন্তিত নন নির্মাতারা।
তবে প্রশ্নটা থেকে যায়- আবেগ আর আত্মার মাঝেও কি কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে মৌলিকতা? নাকি হিন্দি গানের বাজারে এখন ‘ইন্সপায়ার্ড’ হওয়াটাই নতুন নিয়ম?
আপনার মতামত লিখুন :