আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে দেশের ২২৩টি আসনে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, খেলাফত মজলিস দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদীয় কাঠামোর পক্ষে। দলটি আগামী জাতীয় সংসদে নিম্নকক্ষে আংশিক অনুপাতিক ও উচ্চকক্ষে পূর্ণ অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থা চালুর দাবি জানায়।
তাদের মতে, একদলীয় বা একচ্ছত্র শাসনব্যবস্থা জনগণের ইচ্ছার প্রকৃত প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ। তাই অনুপাতিক পদ্ধতির মাধ্যমে রাজনৈতিক বৈচিত্র্য ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা সম্ভব।
ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়ে মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। দুঃখজনকভাবে ইদানীং ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলো নিজেদের মধ্যেই আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলছে, যা ফ্যাসিবাদের দোসরদের উৎসাহিত করছে। জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের বিরুদ্ধেও হামলার দুঃসাহস দেখানো হচ্ছে। এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার।’
সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন ও মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মূসা প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস একটি ইসলামপন্থি রাজনৈতিক দল, যার নেতৃত্বে আছেন আমীর মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। দলটির নির্বাচনী প্রতীক রিকশা।
১৯৮৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলটি প্রতিষ্ঠিত হয় আজিজুল হক, আহমদ আবদুল কাদের, ভাষাসৈনিক মাসউদ খান ও অন্যান্য ইসলামপন্থি নেতার নেতৃত্বে। প্রতিষ্ঠাকালীন আমির ছিলেন আবদুল গফফার; এরপর আমির হন আজিজুল হক এবং পরে হাবিবুর রহমান।
২০০৫ সালে দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়—একটি অংশ বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটে থেকে যায়, অপর অংশ ‘বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস’ নামে আলাদাভাবে কার্যক্রম চালায়। খেলাফত মজলিস ধর্মীয় মূল্যবোধে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে।