ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে হামাস ও ইসরায়েল রাজি হয়ে যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার পর, নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।ইসরায়েল–ফিলিস্তিনের মতো ইউক্রেনেও শান্তি প্রতিষ্ঠায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের সঙ্গে এক ফোনালাপে জেলেনস্কি বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্যে একটি যুদ্ধ থামাতে সক্ষম হন, তবে অন্যান্য যুদ্ধও তাঁর পক্ষে থামানো সম্ভব।’
শনিবার (১১ অক্টোবর) জেলেনস্কি ও ট্রাম্পের মধ্যে এ ফোনালাপ হয়। এর এক দিন আগে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় ব্যাপক হামলা চালায় রাশিয়া। হামলায় রাজধানী কিয়েভের অংশবিশেষ ও আরও ৯ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়; যদিও পরে তা আবার চালু করা হয়েছে। কিয়েভের অভিযোগ, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে বৈশ্বিক মনোযোগ নিবদ্ধ হওয়ার কারণে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন বন্ধে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোয় মন্থর হয়ে পড়েছে ।
গত বুধবার (৮ অক্টোবর) ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে প্রথম ধাপের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর আগে গত ১৫ আগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন তিনি। তবে সে সময় ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফোনালাপ হয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক ও ফলপ্রসূ আলোচনা ছিল।’ মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতির ‘অসাধারণ’ পরিকল্পনার জন্য ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘একটি অঞ্চলের যুদ্ধ যদি থামানো যায়, তবে নিশ্চিতভাবে অন্যান্য যুদ্ধও থামানো সম্ভব। রাশিয়ার যুদ্ধও এর বাইরে নয়।’ এ সময় সমঝোতায় বসার জন্য রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে এক বৈঠকে ট্রাম্প ও জেলেনস্কির মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়েছিল। তবে পরে দুই নেতার সম্পর্কে নাটকীয় অগ্রগতি ঘটে। এর পর থেকে মস্কোর প্রতি আরও বৈরীভাবাপন্ন হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। পাশাপাশি ইউক্রেনের প্রতি তাঁর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। গত সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প তাঁর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, কিয়েভের উচিত, ইউরোপ ও ন্যাটোর সহায়তায় রাশিয়ার দখল করা সব ভূখণ্ড ‘ফিরিয়ে নেওয়ার’ চেষ্টা করা।
যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বলেছেন, তিনি পুতিনের সঙ্গে এক ব্যতিক্রমধর্মী যোগাযোগ চ্যানেল তৈরি করে রাশিয়ার অপহৃত ইউক্রেনীয় শিশুদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।