আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে নয়াদিল্লি-ওয়াশিংটন রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করছে এয়ার ইন্ডিয়া। ‘অপারেশনাল কারণ’ দেখিয়েছে বিমান সংস্থাটি। তারা জানায়, ‘অপারেশনাল’ কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফ্লিট সংস্কার কর্মসূচির কারণে বেশ কয়েকটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমান সাময়িকভাবে পরিষেবায় থাকবে না।
সোমবার (১১ আগস্ট) এনডিটিভির খবরে বলা হয়, সিদ্ধান্তটি লন্ডনগামী একটি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার আহমেদাবাদে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর বিধ্বস্ত হওয়ার দুই মাস পর এলো। গত ১২ জুনের দুর্ঘটনায় ২৪২ যাত্রী ও ক্রুর মধ্যে মাত্র একজন বেঁচে যান, আর স্থলে থাকা অন্তত ২০ জন নিহত হন।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, রুট নেটওয়ার্কের নির্ভরযোগ্যতা বজায় রাখতে ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে। গত মাসে সংস্থাটি তাদের ২৬টি ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারের সংস্কার কাজ শুরু করেছে, যা ২০২৬ সালের শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে চলবে। এই সময়ে একাধিক বিমান দীর্ঘ সময়ের জন্য পরিষেবার বাইরে থাকবে।
এছাড়া পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইটগুলোর রুট দীর্ঘ হচ্ছে এবং পরিচালন জটিলতা বাড়ছে।
যাত্রীদের জানানো হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বরের পর ওয়াশিংটন ডিসি রুটে বুকিং থাকলে তাদের বিকল্প ভ্রমণের ব্যবস্থা, অন্য ফ্লাইটে পুনঃবুকিং বা সম্পূর্ণ ভাড়া ফেরত দেওয়া হবে।
তবে যাত্রীরা নিউ ইয়র্ক, নিউয়ার্ক, শিকাগো ও সান ফ্রান্সিসকো হয়ে এক স্টপ ফ্লাইটে ওয়াশিংটন যেতে পারবেন, এয়ার ইন্ডিয়ার অংশীদার আলাস্কা এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস ও ডেল্টা এয়ার লাইন্সের মাধ্যমে। লাগেজও একই ভ্রমণপথে চূড়ান্ত গন্তব্য পর্যন্ত পাঠানো হবে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, তারা ভারত ও উত্তর আমেরিকার ছয়টি গন্তব্যে সরাসরি ফ্লাইট চালিয়ে যাবে, যার মধ্যে কানাডার টরন্টো ও ভ্যাঙ্কুভারও রয়েছে।
টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন এয়ার ইন্ডিয়া ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের ফ্লিট সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল। এর আওতায় ২৬টি পুরনো ৭৮৭-৮ বিমানের এভিওনিক্সসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ আধুনিক মানে উন্নীত করা হবে, যাতে নির্ভরযোগ্যতা বাড়ে এবং পরিচালন বিঘ্ন কমে।