ঢাকা সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫

বাংলাদেশ-পাকিস্তানের ‘মাখামাখি’ সম্পর্ককে উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে ভারত

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২৫, ০৯:০৩ এএম
বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতের পতাকা।

পাকিস্তানের উপপ্রধান ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের বাংলাদেশ সফরকে বেশ উদ্বেগের সঙ্গে দেখছে ভারত। তার এ সফরে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি, চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও একটি কর্মসূচি (প্রোগ্রাম) সই হয়েছে। সেগুলো হলো দুই দেশের অফিসিয়াল ও কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের ভিসা অব্যাহতি চুক্তি; দুই দেশের বাণিজ্যবিষয়ক জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন; সংস্কৃতি বিনিময়; দুই দেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমির মধ্যে সহযোগিতা; দুই রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার মধ্যে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের সঙ্গে পাকিস্তানের ইসলামাবাদ পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (আইপিআরআই) সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা।

সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮’র এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়, ইসহাক দারের বাংলাদেশে আসা এবং চুক্তি করাকে ‘ঘনিষ্ঠতা’ হিসেবে দেখছে ভারত। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হওয়ার পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান তাদের মধ্যে সম্পর্ক পুনর্গঠন করছে। যা ভারতের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংস্থাকে অবাক করছে।

এদিকে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার ব‌লে‌ছেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৯৭১ সালের অমীমাংসিত ইস্যু ১৯৭৪ সালে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি ও ২০০২ সালে পারভেজ মোশাররফের সফরে দুঃখ প্রকাশের মধ্য দিয়ে সমাধান হয়। তি‌নি ব‌লেন, আমি মনে করি, পরিবারের মধ্যে, দুই ভাইয়ের মধ্যে কোনো কিছুর একবার সমাধান হলে, সেটা হয়ে গেছে। ইসলাম বলেছে, হৃদয় পরিষ্কার করতে। আপনারা আপনাদের হৃদয় পরিষ্কার করুন। আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ইসহাক দার আরও বলেন, দুই দেশের মানুষের জন্য আরও ভালো কিছু করার জন্য আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। এটাতেই আমাদের ঐকমত্য এবং আমরা সেটাই করছি।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমরা বিস্তৃত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। বাণিজ্য, অর্থনীতি, বিনিয়োগ এবং নিরাপত্তা প্রতিরক্ষায় একযোগে কাজ করাসহ পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবকিছু। তি‌নি আরও ব‌লেন, আপনাদের সঙ্গে আমাদের ঐকমত্য আছে, আমাদের মতামতে কোনো ভিন্নতা ছিল না। যা খুবই ভালো বিষয়।