যুক্তরাজ্যের দক্ষিণ উপকূলীয় সাসেক্সে একটি মসজিদে শনিবার রাতের দিকে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় পুলিশ বলছে, পিসহ্যাভেন শহরের ওই মসজিদে আগুন লাগানোর ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
তবে কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে মুসলিম বিদ্বেষমূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করছে এবং ইতোমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে।
সাসেক্স পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ১০টার কিছু আগে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের মসজিদে পাঠানো হয়। অগ্নিকাণ্ডের কারণে মসজিদের প্রধান প্রবেশদ্বার ও বাইরে পার্ক করা একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মসজিদে তখন দুজন উপস্থিত ছিলেন, যারা নিরাপদে বের হতে সক্ষম হন।
স্থানীয় অলাভজনক সংস্থা ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ মুসলিম ফোরামের চেয়ারম্যান তারিক জং জানিয়েছেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে কেউ আগুনে পুড়ে মারা যায়নি। মানুষ যখন উপাসনালয়ে আসে, তারা কখনো ভাবতে পারেন না যে তাদের ওপর হামলা হতে পারে। তারা সেখানে প্রার্থনা, ক্ষমা প্রার্থনা এবং প্রিয়জনের জন্য আশীর্বাদ কামনা করতে আসে।’
ঘটনাটি ব্রিটেনে সম্প্রতি বেড়ে চলা মুসলিম বিদ্বেষের প্রেক্ষাপটে ঘটেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ম্যানচেস্টারে একটি সিনাগগে প্রাণঘাতী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ এই দুই ঘটনার পর দেশজুড়ে মসজিদ এবং ইহুদি ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
সাসেক্স পুলিশ রোববার জানিয়েছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষকে আশ্বস্ত করার জন্য মসজিদে পুলিশের উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুলিশ বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা বুঝতে পারছি, এই ঘটনা সমাজে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর এর প্রভাব পড়বে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলে হামাসের হামলা ও গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের পর ব্রিটেনে মুসলিম ও ইহুদি বিদ্বেষ উভয়ই বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুসলিম-বিরোধী বিদ্বেষ ট্র্যাক করা সংস্থা টেল মামার তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ব্রিটেনে ৬ হাজারেরও বেশি মুসলিম-বিরোধী ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে, যা সংস্থাটির রেকর্ড সংরক্ষণ শুরু করার পর সর্বোচ্চ।
সূত্র: দ্য নিউইয়র্ক টাইমস