জুলাই অভ্যুত্থানে সাভারের আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি আগামী ৭ আগস্ট। প্রসিকিউশনের আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই দিন ধার্য করেন।
গতকাল সোমবার প্রসিকিউসন পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। এ সময় চিফ প্রসিকিউটরসহ অপর প্রসিকিউটররা উপস্থিত ছিলেন। গত ২ জুলাই এ মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
এই ১৬ জনের মধ্যে গ্রেপ্তার ৮ আসামি গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। তারা হলেন- ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আফজাল হোসেন ও কনস্টেবল মুকুল।
এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর, মরদেহগুলোকে পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব মরদেহে আগুন দেওয়া হচ্ছিল, তখন একজনকে জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়।’ নৃশংস এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে আশুলিয়া থানার সামনে পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলিতে গুরুতর আহত হন একজন। একজনকে মৃতপ্রায় ও পাঁচজনকে মৃত অবস্থায় প্রথমে একটি প্যাডেল ভ্যানে তোলা হয়। পরে ওই ভ্যান থেকে পুলিশের একটি গাড়িতে তোলা হয় হতাহতদের। একপর্যায়ে ওই গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় শহিদ হন- সাজ্জাদ হোসেন (সজল), আস সাবুর, তানজীল মাহমুদ সুজয়, বায়েজিদ বোস্তামী, আবুল হোসেন ও একজন অজ্ঞাত।