আগামী ৩০ থেকে ৩১ জুলাই নেপালে টেবিল টেনিস বিশ^কাপ বাছাইয়ের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের খেলা রয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে গতকাল নেপালের বিমান ধরেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়।
বাছাই পর্বে শুধু দলগত ইভেন্টই হবে। বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ আসরে বাংলাদেশ টিটি দলকে না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ফেডারেশন খেলোয়াড়দের সিলেকশনের মাধ্যমে দল চূড়ান্ত করতে চেয়েছিল। খেলোয়াড়রা র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতেই খেলতে চেয়েছিল। দুই পক্ষ দুই অবস্থানে অনড় থাকায় ফেডারেশন আয়োজকদের না খেলার বিষয়টি জানায়।
বিশ্বকাপ বাছাই বাংলাদেশের টেবিল টেনিসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। খেলোয়াড়-ফেডারেশনের ‘র্যাঙ্কিং-সিলেকশন’ দ্বন্দ্বে দল না পাঠানোর সিদ্ধান্তে গণমাধ্যম ও ক্রীড়াঙ্গনে সমালোচনা হয়। ক্রীড়া প্রশাসনেরও বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ফেডারেশন জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য র্যাঙ্কিংয়ের ভিত্তিতেই দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। নির্ধারিত সময়ের পর হলেও অনেক দেন-দরবার করে কয়েক দিন আগে এন্ট্রি নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের।
পুরুষ দলে রয়েছেন রামহিম লিয়ান বম, হৃদয়, জাভেদ আহমেদ ও ইমন। নারী দলে সোনাম সুলতানা সোমা, মৌ, খৈ খৈ ও ঐশী। এ দলের কোচ সৈয়দ মাহমুদুজ্জামান শাহেদ। বাংলাদেশ দলের অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড় জাভেদ আহমেদ বলেন, ‘অবশেষে আমরা খেলতে যাচ্ছি, এটা ইতিবাচক খবর। পাঁচ-ছয় দিন আগে আমরা জানতে পারি খেলব।
স্বল্প সময়ের মধ্যেই মানসিকভাবে নিজেদের প্রস্তুত করেছি। অনুশীলন ও প্রস্তুতির তীব্রতা যতটুকু সম্ভব বাড়িয়েছি।’ পুরুষ টিটি দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রামহিম। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও অনুশীলন দুটো একসঙ্গে চালাতে হয়েছে। এতে আমার প্রস্তুতি প্রত্যাশিত মানের হয়নি এরপরও আশাবাদী ভালো কিছু করার।’
নেপালে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টে ভারত, নেপাল , শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের অংশ নেওয়ার কথা। এ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল আগামী বছর ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ টিটিতে খেলার সুযোগ পাবে। ভারত স্বাভাবিকভাবেই চ্যাম্পিয়নের দাবিদার।
বাংলাদেশ টেবিল টেনিস খেলোয়াড় ও ফেডারেশনের হিসেবে ভারত এশিয়ান র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকায় সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে সে ক্ষেত্রে এ টুর্নামেন্টে রানার্স-আপ হলে বাংলাদেশেরও বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ থাকবে। বাংলাদেশ সেই লক্ষ্যেই মূলত যাচ্ছে।