বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৯:১৮ এএম

ঘাতকের দেখানো ঝোপ থেকে অটোরিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার

মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৯:১৮ এএম

নিহতের স্বজনের আহাজারি।    ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

নিহতের স্বজনের আহাজারি। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

কুমিল্লার মুরাদনগরে নিখোঁজের ৩৮ দিন পর এক অটোরিকশা চালকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ এলাকার মক্কা ব্রিক্স সংলগ্ন গোমতী নদীর বেড়িবাঁধের ভেতরের একটি ঝোপ থেকে মাথার খুলি ও হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়।

নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)। তিনি বাঙ্গরা বাজার থানার দীঘিরপাড় গ্রামের মৃত মোস্তফার ছেলে এবং পেশায় একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঘাতক খাইরুল ইসলামকে (২১) নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর থানার সালা পাগলার মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে এবং দেখানো স্থানে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

গত ১১ আগস্ট রাতে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন মেহেদী। পরদিন তার পরিবার বাঙ্গরা বাজার থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ২০ আগস্ট মেহেদীর মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে দীঘিরপাড় গ্রামের আইনুল হকের ছেলে খাইরুলকে আসামি করে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাহিদ হাসান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় খাইরুলের বাবা আইনুল হককে রাঙামাটির কাউখালি থেকে এবং তার ভাই ফুল মিয়াকে কুমিল্লার অশোকতলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফুল মিয়ার তথ্যে অটোরিকশাটি কুমিল্লার একটি গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয়।

অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খাইরুলকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে বুধবার বিকেলে তার দেখানো স্থানে কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

খাইরুলকে কুমিল্লা আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে খাইরুল হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার দেখানো স্থান থেকেই কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলে থাকা পোশাকের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত করেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অটোরিকশাও উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, তা জানতেই আসামিকে রিমান্ডে আনা হয়েছে।

নিহত মেহেদীর পরিবার জানায়, মেহেদী ছিল পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা দ্রুত বিচার ও খুনির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!