স্ত্রী খোশেদা বেগমকে জ্যান্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে বড় ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেছেন বৃদ্ধ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাকে সবাই মাফ কইরা দেন। আমার ওপর শয়তান ভর করছিল, রাগের মাথায় ওরে কবর দিবার চাইছিলাম।’
রোববার (১০ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেলের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত নারীর হাতে ১০ হাজার টাকা সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া মহিলা দল, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারাও ওই পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। একই দিন বিকেলে মানিকগঞ্জ দরবার শরীফের পীর শায়খ হযরত মাওলানা মুফতি ড. মুহাম্মদ মনজুরুর ইসলাম ছিদ্দিকীর পক্ষে তার মুরিদগণও ১০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
খলিলুর রহমান জানান, ‘১৫ বছর ধরে একাই ওর সেবা করছি। ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতনি কেউ পাশে নেই। কমোড চেয়ার দিয়েছি, কিন্তু বসে না। গত শুক্রবার তিনবার বিছানায় মলত্যাগ করায় সহ্য করতে না পেরে জ্যান্ত কবর দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম। আমার কষ্ট কেউ বুঝে না। যে সেবা করে সে বুঝে, বছর বছর ধরে কি কষ্ট করছি।’
শ্রীবরদীর কাকিলাকুড়া ইউনিয়নের খোশালপুর কানিপাড়া গ্রামের ৭৫ বছর বয়সি খলিলুর গত শুক্রবার মেজাজ হারিয়ে স্ত্রীর জন্য বাড়ির উঠানে কবর খুঁড়েছিলেন। মারধর করে তাকে টেনে বাইরে নিয়ে গিয়ে কবর দেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে প্রতিবেশীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন। এ ঘটনা নাতি মো. খোকন ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করলে তা ভাইরাল হয়।
ঘটনার পর শনিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসিসহ প্রশাসনের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ভয়ে রাতেই বাড়ি ফেরেননি খলিলুর। রোববার সকালে বাড়ি এসে স্ত্রী ও সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :