ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। এখন চলছে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। খুব শিগগির চূড়ান্তভাবে শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ করবে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। কিন্তু তার আগেই শিক্ষক পদপ্রত্যাশীদের জন্য বড় দুঃসংবাদ দিয়েছেন এনটিআরসিএর সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক।
দেশের একটি গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে সচিব এ এম এম রিজওয়ানুল হক বলেছেন, ‘কিছু কিছু সাবজেক্টে পদের চেয়ে প্রার্থী সংখ্যা বেশি। এ পদগুলোতে চাইলেও সবাইকে সুপারিশ করা সম্ভব হবে না। ফলে আবেদনকৃত সবাই সুপারিশ পাবেন এটি বলার সুযোগ নেই। আবার অনেক সাবজেক্টে পদ ফাঁকা থাকলেও আবেদনযোগ্য প্রার্থীর সংখ্যা কম। ফলে এখানেও পদ ফাঁকা থেকে যাবে।’
ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির সুপারিশ কবে করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে এনটিআরসিএ সচিব বলেন, ‘টেলিটকের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে নিয়োগ সুপারিশ করা হবে। এবার আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ভেরিফিকেশন ফরম পূরণ করতে হয়েছে। ফলে সুপারিশে খুব বেশি সময় লাগবে না।’
এনটিআরসিএর তথ্যমতে, গত ১৬ জুন ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কারিগরি ও ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ে এক লাখ ৮২২টি শূন্যপদে আবেদন আহ্বান করা হয়। ২২ জুন থেকে এ আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য অনুযায়ী, আবেদনের সময় শেষ হয়েছে গত ১০ জুলাই। তবে রোববার রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফি জমা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন প্রার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।
এনটিআরসিএ কর্মকর্তারা জানান, যদি সব প্রার্থীর আবেদন বৈধও হয়, তবুও ৪২ হাজার ৯৮২টি শিক্ষক পদ শূন্য থেকে যাবে। তা ছাড়া আবেদনকারীদের মধ্যে অনেকে বাদ পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাহিদা দিয়েও শিক্ষক পাবে না। ফলে সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :