ক্রিকেট ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৩ আগস্ট ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। ১৯০২ সালে গিলবার্ট জেসকপের এক ঐতিহাসিক শতরান থেকে শুরু করে আধুনিক ক্রিকেটের দ্রুততম বোলার শোয়েব আখতারের জন্ম।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক আজকের দিনে ক্রিকেট ইতিহাসে ঘটে যাওয়া গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো।
জেসকপের বীরত্বে ইংল্যান্ডের জয় (১৯০২)
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম নাটকীয় ইনিংসটি ১৯০২ সালে এই দিনেই খেলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যান গিলবার্ট জেসকপ। মাত্র ৭৫ মিনিটে করা তার একমাত্র টেস্ট শতরান ইংল্যান্ডকে প্রায় নিশ্চিত পরাজয়ের মুখ থেকে ফিরিয়ে আনে।
ইউর্কশায়ারের দুই অলরাউন্ডার জর্জ হার্স্ট ও উইলফ্রেড রোডসের সাথে শেষ উইকেটে তার পার্টনারশিপ সেদিন ইংল্যান্ডের জয়ের ভিত্তি গড়ে তোলে।
শোয়েব আখতারের জন্ম (১৯৭৫)
১৯৭৫ সালে এই দিনে জন্ম নেন বিশ্বের অন্যতম দ্রুততম বোলার শোয়েব আখতার। প্রতি ঘণ্টায় ১০০ মাইলের বেশি গতিতে বোলিং করার জন্য পরিচিত শোয়েব তার আগ্রাসী বোলিং ও আচরণ দিয়ে আলোচনায় থাকতেন।
বিতর্ক, ইনজুরি এবং স্ক্যান্ডাল সত্ত্বেও ২০১১ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত তার ক্যারিয়ার ছিল বর্ণময়।
ভিভ রিচার্ডসের অসাধারণ ইনিংস (১৯৭৬)
১৯৭৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস এই দিনে এক গ্রীষ্মকালীন সিরিজে সর্বোচ্চ ২৯১ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন।
এই বছরে তিনি ১৭১০ রান সংগ্রহ করে একটি দীর্ঘদিনের রেকর্ড গড়েন।
আরও কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত
১৮৪১: অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী অলরাউন্ডার উনারিমিন (জনি মুল্যাঘ) জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৬৮ সালে ইংল্যান্ড সফরে তার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতো।
১৯৮২: এদিনে পাকিস্তানের মোহসিন খান লর্ডসে টেস্টে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরি করেন। তার ওপেনিং পার্টনার মুদাসার নাজার দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন।
১৯৭৯: অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার লিসা স্টালেকার জন্মগ্রহণ করেন। নারী ক্রিকেটে তার অবদান অনেক, যার মধ্যে আছে ২০০৩ সালে প্রথম টেস্ট শতরান এবং ২০০৫ সালের বিশ্বকাপে তার নজরকাড়া পারফরম্যান্স।
২০১১ ও ২০১৬: আধুনিক ক্রিকেটেও এই দিনের মাহাত্ম্য কম নয়। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড ভারতকে হারিয়ে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম স্থান অর্জন করে।
অপরদিকে, ২০১৬ সালে ভারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে।
আজকের দিনটি ক্রিকেট ইতিহাসে একাধিক স্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী। ২২ গজে ব্যাট ও বল হাতে সাফল্য, রেকর্ড এবং অবিশ্বাস্য মুহূর্তগুলো ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য আজও অনুপ্রেরণার উৎস।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন