ঢাকা শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

ভারত পুরস্কৃত করল, বাংলাদেশ নীরব কেন?

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল ও ভারত নারী দল। ছবি- সংগৃহীত

এএফসি নারী এশিয়ান কাপের মূলপর্বে জায়গা করে নেওয়ার পর ভারতের নারী ফুটবল দলকে ৫০,০০০ মার্কিন ডলার (৬১ লাখ টাকার বেশি) পুরস্কার ঘোষণা করেছে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)।

যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হিসেবে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্বে স্থান করে নিয়েও বাংলাদেশ নারী দল কোনো আর্থিক পুরস্কার পায়নি। এই ঘটনা দেশের নারী ফুটবলারদের আর্থিক দুর্দশার বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে।

২০২৫ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ভারতের নারী ফুটবল দল দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। মিয়ানমারে অনুষ্ঠিত বাছাইপর্বে তারা মঙ্গোলিয়াকে ১৩-০, পূর্ব তিমুরকে ৪-০ এবং ইরাককে ৫-০ গোলে পরাজিত করেছে।

এরপর শক্তিশালী থাইল্যান্ডকে হারিয়ে মূলপর্ব নিশ্চিত করে। ২০০৩ সালের পর এটিই প্রথমবার, যখন ভারত বাছাইপর্ব পেরিয়ে এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল।

২০২২ সালে তারা আয়োজক দেশ হিসেবে খেলেছিল। এমন সাফল্যের পর দেশে ফেরার পর ভারতীয় নারী ফুটবলারদের উষ্ণ সংবর্ধনাও দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ নারী দলও প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপ ফুটবলের মূলপর্বে জায়গা করে নিয়েছে।

ইতিহাস গড়ে মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরার পর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) তাদের জন্য গভীর রাতে সংবর্ধনার আয়োজন করেছিল।

সকলের প্রত্যাশা ছিল, বাফুফে হয়তো কোনো আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করবে, কিন্তু তেমন কোনো ঘোষণা আসেনি।

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল এই সময় শুধু পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা নারী দলের সাথে আগেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকব। আমরা আপনাদের ওপর আস্থা রাখছি এবং প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের পেছনে আমরা আছি।’

তবে এই প্রতিশ্রুতি নারী ফুটবলারদের আর্থিক দুর্দশার দীর্ঘদিনের সমস্যাকে সমাধান করতে পারছে না। গত বছর সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর বাফুফে দেড় কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিল, কিন্তু সেই অর্থ এখনও পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়নি।

দেশের নারী ফুটবলারদের মধ্যে মাত্র কয়েকজন ৫৫ হাজার টাকা সম্মানি পান এবং দেশে কোনো ঘরোয়া লিগ না থাকায় তাদের আর্থিক দুর্দশা আরও প্রকট হচ্ছে।

এশিয়ান কাপ নিশ্চিতের পরও বাফুফে সভাপতির কাছ থেকে আর্থিক কোনো ঘোষণা না আসায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের উচ্ছ্বাস অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়।