২০২৩ সালের মার্চে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একাধিকবার পুতিনকে ‘যুদ্ধাপরাধী’ আখ্যা দিয়ে এই পরোয়ানাকে যথাযথ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র আইসিসির সদস্য নয়। সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন রোম সংবিধিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, যা আইসিসি গঠনের ভিত্তি, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট চুক্তি অনুমোদন না করায় এটি আইনি বাধ্যবাধকতায় পরিণত হয়নি। দুই বছর পর প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ যুক্তরাষ্ট্রের আইসিসির সঙ্গে সব ধরনের সম্পৃক্ততা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করেন। তিনি দাবি করেন যে এই প্রতিষ্ঠান মার্কিন সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি।
ফলে আইসিসির পরোয়ানার কোনো আইনি কার্যকারিতা যুক্তরাষ্ট্রে নেই। ট্রাম্প প্রশাসনও প্রকাশ্যে আইসিসির বিরোধিতা করেছে, এমনকি আফগানিস্তান যুদ্ধে মার্কিন সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ তদন্তের জন্য আইসিসির কিছু কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
আইসিসির এখতিয়ার না থাকাই হয়তো অন্যতম কারণ যে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র শুক্রবারের বৈঠকের স্থান হিসেবে আলাস্কা নির্ধারণ করেছে।
তবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ২০২৩ সালের আগস্টে পুতিন মঙ্গোলিয়া সফর করেছিলেন—যে দেশটি আইসিসির সদস্য। সফরের সময় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর না করায় মঙ্গোলিয়ার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
অবশেষে, আন্তর্জাতিক আইন বাস্তবায়ন জাতীয় সরকার ও তাদের নেতাদের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। আর এ ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করতে চাইছেন এবং তা তার শর্তেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে—এতে কোনো আইনি বাধা নেই।