লোকসভার বিরোধীদলীয় নেতা রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা একটি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিলেন।
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার একদিন পর মোদিকে চিঠি লেখেন রাহুল। এতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে একটি বিশেষ অধিবেশন ডাকার অনুরোধ জানান।
নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে শনিবার আশ্চর্যজনকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি পূর্ণ এবং তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। সাধারণ জ্ঞান এবং দুর্দান্ত বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য উভয় দেশকে অভিনন্দন।
যুদ্ধবিরতি ঘোষণাকারী পরবর্তী ব্যক্তি ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
রুবিও বলেন, তিনি ও মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারত ও পাকিস্তানের নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। সামরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে সম্মত হওয়ার জন্য তাদের প্রশংসা করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প যে সর্বপ্রথম যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সেই খবর সবারই জানা। তবে হঠাৎ করে রাহুল কেন চিঠিতে মোদিকে সেই কথা লিখলেন, সেটা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে।
এদিকে, এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন ঘোষণার প্রায় আধাঘণ্টা পর, ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানান, ভারতের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালক শনিবার বিকেলে তার পাকিস্তানি প্রতিপক্ষের কাছ থেকে একটি ফোন পেয়েছেন।
‘তারা একমত হয়েছেন, উভয়পক্ষই শনিবার ভারতীয় সময় বিকেল পাঁচটা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রে সমস্ত ধরনের গুলিবর্ষণ এবং সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করবে। এই সমঝোতা কার্যকর করার জন্য উভয় পক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘ভারত সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে দৃঢ় এবং আপসহীন অবস্থান বজায় রেখেছে। এটি অব্যাহত থাকবে।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো এ বিষয় নিয়ে কোনো কথা বলেননি বলেও জানানো হয়।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফসহ নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।
কিন্তু ভারতীয় নেতৃত্বের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় মার্কিন ভূমিকার কথা উল্লেখ করা হয়নি বা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া শর্তগুলির বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়নি।
এ ছাড়া আজ সকালে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাশ্মীর সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার জন্য দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন।
