ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫

মাদারীপুরে সরকারি জায়গা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মাদারীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
মসজিদের সামনে সংবাদ সম্মেলন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

মাদারীপুরে মসজিদের সামনের সরকারি জায়গা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মুসল্লীরা। বুধবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে জেলার সদর উপজেলার শিরখাড়া ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে কুচিয়ামোড়া হাজী আমিরুন্নেছা জামে মসজিদের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

অভিযোগ উঠেছে, দুইবার সালিশ মেনে স্বাক্ষর করলেও বর্তমানে জায়গা দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছেন হালিম মাতুব্বর (৭০), সুজাত মাতুব্বর, রাজীব মাতুব্বর ও রশিদ মাতুব্বরের পরিবারের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী লুৎফর রহমান মোল্লা, মসজিদের দাতা সদস্য জালাল হোসেন মাতুব্বর, স্থানীয় মুসল্লীরা আঃ রহমান শিকদার, চান মিয়া শিকদার, জয়নাল হাওলাদার, মামুন মাতুব্বর, নুরুল হক ফকির, তোফাজ্জল হাওলাদার, আবু সাইদ মুন্সী, হান্নান মাতুব্বর, সাওন মোল্লা, শাজাহান মাতুব্বর ও দিদার মাতুব্বর প্রমূখ।

মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী লুৎফর মোল্লা জানান, মসজিদের চলাচলের রাস্তার পাশে সরকারি দুই শতাংশ জায়গার ওপর একটি ডোবা ছিল। সেটি স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহায়তায় মসজিদ তহবিলের টাকা দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।

কিন্তু সেই জায়গার পাশে বাড়ি হওয়ায় এখন জোরপূর্বক দখল করে ঘর তুলতে চাচ্ছেন হালিম মাতুব্বর (৭০), সুজাত মাতুব্বর, রাজীব মাতুব্বর ও রশিদ মাতুব্বরের পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে দখল করতে চাইলে দুইবার স্থানীয় চেয়ারম্যান, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশ ফাঁড়িতে সালিশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তখন সবাই মসজিদের পক্ষে রায় দিলে স্ট্যাম্পে লিখিত স্বাক্ষর করা হয়। তবে বর্তমানে তারা কোনো কিছুই মানছেন না।

মুসল্লীরা চান, মসজিদের চলাচল রাস্তা যেন উন্মুক্ত থাকে এবং ওই সরকারি জায়গা কেউ যেন দখল করে ঘর তুলতে না পারে। দখলদারদের দাবি, যাদের ঘরের পাশে সরকারি জায়গা, তারাই ভোগ করবে। তাই তারা রান্না ঘর তুলেছেন।

মসজিদের দাতা সদস্য জালাল হোসেন মাতুব্বর বলেন, আমি এই মসজিদের জন্য ২৫ শতাংশ জায়গা দিয়েছি। কিন্তু মসজিদে প্রবেশের রাস্তার পাশে মসজিদের তহবিলের টাকা দিয়ে ভরাটকৃত জায়গা দখল করতে চাচ্ছেন পাশ্ববর্তী কয়েকজন।

তাদের বাধা দিলে পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দেওয়া হয়। পরে তাদেরকে ১০-১১ ফুট একটি ঘর তোলার অনুমতি দেয় পুলিশ। মুসল্লীরা তা মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারা এখন তা মানছেন না। আমরা চাই, সরকারের মাধ্যমে এই জায়গা উন্মুক্ত রাখা হোক, যেন কেউ সেখানে ঘর তুলতে না পারে।