নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ এবং পরবর্তীতে অবৈধভাবে শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের করনাইট বাজনাহার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায়।
প্রধান শিক্ষক মোছা. শাহানাজ আক্তারকে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগপন্থী একটি চক্র, যারা প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করেও শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে।
মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য নুরুল ইসলাম গত ১৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, মাদ্রাসাটি দীর্ঘদিন স্বেচ্ছাশ্রমে মো. দবিরুল ইসলামের পরিচালনায় চলে আসছিল।
মাদ্রাসাটির জমির পরিমাণ মাত্র ৫ শতক। প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জমিদাতা ছিলেন মরহুম মজির উদ্দীন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে একটি টিনশেড ঘর, নলকূপ ও নির্মাণ সামগ্রী মাদ্রাসাকে অনুদান হিসেবে দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয় এবং চারজন শিক্ষক মাসিক বেতন-ভাতা পেতে শুরু করেন। তখন থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগ সমর্থিত গোলাম মোস্তফা ‘সভাপতি’ পরিচয়ে নিয়োগ বাণিজ্যে মেতে উঠেন বলে অভিযোগ করেন নুরুল ইসলাম।
তার দাবি, ভুয়া কাগজ ও আগের তারিখ দেখিয়ে সংবাদপত্র কাটিং তৈরি করে শাহানাজ আক্তারকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়। এ বিষয়ে অতীতে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিলে তদন্তে তার কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এ ছাড়া মাদ্রাসাটির ১৯৯৩ সালের বৈধ শিক্ষক আব্দুল মমিন আরও এক ধাপ এগিয়ে লিখিত অভিযোগে বলেন, তিনি ১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৯৩ সালে বৈধভাবে নিয়োগ পান এবং ২২ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন। এখনো পর্যন্ত তিনি কোনো ইস্তফা দেননি।
তার অভিযোগ, একটি চক্র গোপনে তার ও তার পিতা মরহুম মজির উদ্দীনের স্বাক্ষর জাল করে সহকারী শিক্ষক পদে মো. আতিকুজ্জামান বাবুকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছে। উল্লেখ্য, মজির উদ্দীন ছিলেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জমিদাতা।
এই ব্যাপারে রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাফিউল মাজলুবিন রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ওই মাদ্রাসায় যতগুলো নিয়োগ হয়েছে, সেগুলোর সব নথিপত্র চেয়ে চিঠি করেছি। কাগজপত্র দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :