ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা নেইমারের বিশ্বকাপ স্বপ্ন যেন এক ইনজুরির কালো ছায়ায় ঢাকা পড়েছে। মাত্র কয়েকমাস আগে যে আশার আলো উঁকি দিয়েছিল সেটি মিরাসোলের বিরুদ্ধে এক ম্যাচে পাওয়া হাঁটুতে নতুন করে পাওয়া এক দীর্ঘমেয়াদি ইনজুরিতে পুরোপুরি নিভে গেল।
গ্লোবো স্পোর্টসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিরাসোলের বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালীনই তার হাঁটুর মধ্যে অস্বস্তি অনুভূত হয়। এরপরই তিনি ইন্টারনাসিওনালের ম্যাচ মিস করেন। বিস্তারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই নিশ্চিত হয়েছে, এই ইনজুরি দীর্ঘমেয়াদি এবং তাকে বছরের শেষ পর্যন্ত মাঠ থেকে দূরে রাখবে।
ব্রাজিল জাতীয় দলের কোচ কার্লো আনচেলোত্তি গত মাসে বলেছেন, এখনো নেইমারের জন্য একটি ‘দরজা খোলা’। তিনি বলেছিলেন, যদি নেইমার ফিটনেস ধরে রাখতে এবং ধারাবাহিকভাবে খেলার সুযোগ পেতে পারেন, তবে বিশ্বকাপে তার সুযোগ এখনো আছে।
কিন্তু এই নতুন ইনজুরি এই স্বপ্নকে আরও দূরে সরিয়ে দিয়েছে। সান্তোসের লিগের শেষ ম্যাচগুলোতে অনুপস্থিত থাকায় তার ফর্ম প্রমাণের সুযোগও শেষ হয়ে গেছে। বর্তমানে তার প্রত্যাশিত ফিটনেস কেবল ২০২৬ সালে ফেরার সময় পর্যন্ত স্থগিত।
এই ঘটনা নেইমারের দুই বছরের মর্মান্তিক ইনজুরি ইতিহাসের একটি নতুন অধ্যায়। এ দিনের চোট তার আগে ক্রস লিগামেন্ট টিয়ারসহ একাধিক পেশি সমস্যা এবং বারবারের ইনজুরির ধারাবাহিকতার অংশ। তার সান্তোসে ফিরে আসার মূল উদ্দেশ্য ছিল শেষবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা প্রমাণ করা।
কিন্তু মাঠে ধারাবাহিক উপস্থিতি না থাকায়, তার খেলোয়াড়ি ভবিষ্যতও ঝুঁকির মুখে। বিশেষ করে সান্তোস ক্লাব যদি রিলিগেশন মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়, তবে তার চুক্তি নবায়ন অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
ব্রাজিল কোচ স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নেইমারের হাতে ছিল ছয় মাস সময়—ফিট থাকা, ধারাবাহিক খেলা এবং আধুনিক ফুটবলের চাহিদা পূরণ করার জন্য। কিন্তু মার্চে ব্রাজিলের প্রস্তুতি শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সময়সীমা এখন প্রায় অসম্ভব হয়ে গেছে।



