এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) চেয়ারম্যান এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) প্রধান মহসিন নাকভি এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) পরিচালনা করতে বুধবার সকালে ঢাকায় পৌঁছেছেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
নাকভি ঢাকায় অবস্থানকালে ২৪ ও ২৫ জুলাই একটি পাঁচতারকা হোটেলে অনুষ্ঠিতব্য এসিসি সভার সভাপতিত্ব করবেন। আয়োজক হিসেবে বিসিবি এরই মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করেছে।
গতকাল পর্যন্ত ১৯টি দেশের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সম্মতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিসিবি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা ঢাকায় পৌঁছেছেন, যার মধ্যে পিসিবির পরিচালনা প্রধান কর্মকর্তা (সিওও) সালমান নাসিমও রয়েছেন।
এসিসির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এজিএমের কোরাম পূরণের জন্য টেস্ট খেলুড়ে পাঁচ দেশের মধ্যে তিনটি এবং সহযোগী ১০টি দেশের উপস্থিতি প্রয়োজন। তবে এবারের সভায় ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান বয়কটের ঘোষণা দেওয়ায় কোরাম পূরণ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরাম পূরণের জন্য পিসিবি এবং বিসিবি যৌথভাবে আফগানিস্তানকে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। মৌখিকভাবে আফগানিস্তান এজিএমে অংশগ্রহণের সম্মতি দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
শেষ পর্যন্ত যদি আফগানিস্তান পিছু হটে, তাহলে এজিএম স্থগিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার মিরপুরে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পর এসিসি মিটিং নিয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে প্রশ্ন করা হয়েছিল।
বুলবুল উত্তরে বলেন, এসিসি পাঁচটা ফুল মেম্বার ও ২৫টি সহযোগী মেম্বার নিয়ে কাজ করে। এসিসির কাছ থেকে আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছিল যে, আমরা এই এজিএমটা হোস্ট করতে চাই কিনা।
আমরা হোস্ট হিসেবে এটি আয়োজন করছি এবং এসিসি এখানে লজিস্টিক সাপোর্ট দিচ্ছে।
এসিসি মিটিংকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ভূ-রাজনৈতিক কোনো সমস্যায় পড়বে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বুলবুল জোর দিয়ে বলেন, আমার মনে হয় না। ক্রিকেট সবার উপরে।
আবারও বলছি আমরা হোস্ট। এর আগে আমরা (এসিসির) এজিএম হোস্ট করিনি। চেষ্টা করবো দেশের সকলে মিলে যেন ভালো এজিএম হয়।
আপনার মতামত লিখুন :